কক্সবাজারের চার সংসদীয় আসনের ৪ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ৫২০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এনামুল হক বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে বসবাসকারী নবী হোসেনের ছেলে। তার স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড়, শহীদ মিনার, গুমগাছ তলা, হকশন ও আশেপাশের উপসড়কে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি ও হত্যার উদ্দেশে হামলা ও বোমা বিস্ফোরণ করা হয়।
মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক চার সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, জাফর আলম ও আবদুর রহমান বদি। এছাড়াও আসামি করা হয়েছে, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহবুবুর রহমান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফ আহমদ চৌধুরী ও শাহীনুল হক মার্শাল, জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি তাহমিনা নুসরাত জাহান লুনা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এথিন রাখাইনসহ ৫২০ নামের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে আরও ২৫০ জনকে।
মামলা অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে নাম রয়েছে মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের।
এ নিয়ে ৫ আগস্ট পরবর্তী কক্সবাজার জেলার ৯টি উপজেলায় ২২টি মামলা দায়ের করা হলো
এসএম/টিএ