যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে ইলন মাস্ককে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের বিনিয়োগকারী রস গার্বার। তিনি বলেছেন, তাঁর মনোযোগ বিভক্ত হয়ে পড়ায়, বিশেষ করে হোয়াইট হাউসের ভূমিকায় টেসলা সংকটে পড়ছে।
গার্বার কাওয়াসাকি ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের সিইও গার্বার স্কাই নিউজকে বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, তিনি (মাস্ক) সরকারি চাকরির ব্যাপারে নিবেদিতপ্রাণ, সেখানেই তাঁর সময় ব্যয় করছেন। তিনি টেসলা চালাচ্ছেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, টেসলার একজন নতুন সিইও দরকার। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা অবহেলিত হয়ে আছে।’
মাস্কের নেতৃত্বে টেসলাকে এক দশকের বেশি সমর্থন দিয়ে এসেছেন গার্বার কাওয়াসাকি। যদিও তাঁর প্রতিষ্ঠান কাওয়াসাকি ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট টেসলার বৃহত্তম অংশীদারদের অন্তর্ভুক্ত নয়, তবু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টেসলায় এটির ২ লাখ ৬২ হাজার ৩৫২টি শেয়ার রয়েছে। সংস্থাটি ২০২৩ সাল থেকেই টেসলায় তার শেয়ার ক্রমাগত কমিয়ে চলেছে।
মাস্কের নেতৃত্বে টেসলাকে এক দশকের বেশি সমর্থন দিয়ে এসেছেন গার্বার কাওয়াসাকি। যদিও তাঁর প্রতিষ্ঠান কাওয়াসাকি ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট টেসলার বৃহত্তম অংশীদারদের অন্তর্ভুক্ত নয়, তবু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টেসলায় এটির ২ লাখ ৬২ হাজার ৩৫২টি শেয়ার রয়েছে। সংস্থাটি ২০২৩ সাল থেকেই টেসলায় তার শেয়ার ক্রমাগত কমিয়ে চলেছে।
টেসলার পরিচালনা বোর্ডে পরিবর্তন আনার দাবিতে সোচ্চার হওয়া ব্যক্তিদের অন্যতম রস গার্বার। ক্রমেই আরও বেশি মাস্কের সমালোচক হয়ে উঠছেন তিনি, বিশেষ করে হোয়াইট হাউসে মাস্ক যুক্ত হওয়ার পর থেকে।
স্কাই নিউজকে রস গার্বার বলেন, ‘টেসলা গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু করছে। তাই ইলনের অন্য চাকরি ছেড়ে হয় টেসলায় ফিরে আসা ও এটির সিইও হওয়া উচিত (সিইওর কাজ সম্পাদন করা), না হয় সরকারেই মনোযোগ দেওয়া এবং যা করছেন তা-ই করে যাওয়া উচিত। কিন্তু টেসলার একজন যোগ্য সিইও খোঁজা দরকার।’
পুঁজিবাজারে টেসলার দর কমা অব্যাহত আছে। গত পাঁচ দিনে এটির দর কমেছে ৫ শতাংশ। রস গার্বার গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্বে পরিবর্তন দরকার।
গার্বার আরও যুক্তি দেন, টুইটারে (বর্তমানে এক্স) মাস্কের সম্পৃক্ততা তাঁর মনোযোগ (টেসলা থেকে) অন্যদিকে সরিয়ে দিয়েছে। এটি টেসলার নেতিবাচক প্রচার বয়ে এনেছে। তিনি বলেন, ‘ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট করে ফেলেছেন। বেচাবিক্রি কমছে। এটা একটা সংকট। সিইওর মনোযোগ যখন এতটা বিভক্ত, তখন আপনি আক্ষরিক অর্থেই বাজারে সেরা পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন না।’
আরএইচ