টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ‘ডাকাত সর্দার’ নুর মোহাম্মদ নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ (৪৫) নিহত হয়েছেন। সে কক্সবাজারের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

রোববার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিহত নুর মোহাম্মদ হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার ছেলে। তার বাড়ি মিয়ানমারের আকিয়াবের মংডু শহরের বুড়া সিকদারপাড়া গ্রামে।

পুলিশের দাবি, তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরকেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গড়ে তুলে নানা অপরাধ সংঘটিত করছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণসহ একাধিক মামলা আছে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার ভোরে সহযোগীসহ আটক হন রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ। সারাদিন তাকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর (রোববার) ভোরে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে পুলিশ নুর মোহাম্মদকে নিয়ে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ি জনপদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধার অভিযানে যায়।

এ সময় রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠন এবং মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের সশস্ত্র সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে নুর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী ৪০-৫০ রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করার পর হামলাকারীরা গভীর পাহাড়ের দিকে চলে যায়। এসময় নুর মোহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর মোহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, বন্দুকযুদ্ধে ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা (৩৬), কনস্টেবল আশেদুল (২১) ও অন্তর চৌধুরী (২১) আহত হন। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরও জানান, মোস্ট ওয়ান্টেড ও যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি নুর মোহাম্মদ বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ার খবরে এলাকাবাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। মিষ্টি বিতরণ শুরু করেছেন অনেকে। এ ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্প্রতি মেয়ের রাজকীয় কান ফোঁড়ানো অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনায় ছিলেন রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ। তার মেয়ের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিরা ১ কেজি স্বর্ণ ও ৪৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন উপহার দেয় বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন...

রোহিঙ্গাকন্যার কান ফোঁড়ানো অনুষ্ঠানে ১ কেজি স্বর্ণ ও ৪৫ লাখ টাকা উপহার

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: