মিতহাত ওখান। তুর্কি এয়ারলাইন্সের একজন পাইলট। তখন তিনি ফ্লাইটে। হঠাৎ জানতে পারলেন তার ফ্লাইটে সালাহাত্তিন নামে একজন যাত্রী, যিনি একসময় তার শিক্ষক ছিলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি তার শিক্ষককে সম্মান জানাতে চাইলেন।
প্রথমে তিনি পাইলটের আসনে বসেই মাইক্রোফোনে তার শিক্ষকের প্রশংসা করেন ও ধন্যবাদ জানান।
পরে বিমানে তার সহকর্মীদের নিয়ে একগুচ্ছ ফুলের তোড়া নিয়ে চলে যান সেই শিক্ষকের কাছে। তাকে জড়িয়ে ধরে বুকে টেনে নেন তার শিক্ষক।
ছাত্রের কাছ থেকে এমন অভিভূত সম্মান পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিক্ষক। মনের অজান্তেই তার দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। এই মহান দৃশ্য দেখে শুধু শিক্ষকই কাঁদেননি। চোখের জলে ভেসেছেন অনেক যাত্রী।
এই অশ্রু, এই কান্না, কোনো বেদনার অশ্রু বা কান্না নয়। এটা এক শিক্ষকের প্রতি এক প্রকৃত ছাত্রের ভালোবাসা ও সম্মান।
প্রকৃতঅর্থে শিক্ষকতাকে যারা জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন, শিক্ষার্থীর জীবনকে বির্নিমাণ করেছেন, তারা প্রত্যেকেই এমন বিরল সম্মান ও ভালোবাসা পাবার যোগ্য।