প্রেম-ভালোবাসা আপনাকে কেবল সুখী করবে না, একইসঙ্গে আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষাও দেবে। এটা কারো মনগড়া কথা নয়। সম্প্রতি ক্যালিফর্নিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার এক গবেষণায় এসব তথ্য ওঠে এসেছে।
ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারসিটির প্রফেসর স্যার ক্যারি কুপার বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম-ভালোবাসা উল্লেখযোগ্যহারে শরীরবৃত্তীয় কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে। কারণ মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা, বিভিন্ন হরমোন ও অন্যান্য উপাদানের দ্বারা প্রভাবিত হয়।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভালোবাসার আদান-প্রদানের ফলে মস্তিষ্কের ডোপামাইন লেভেলের উন্নতি ঘটে। এর ফলে ‘অক্সিটসিন’ নামে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়।
এ হরমোন মানুষের মধ্যে কেবল সুখ ও ভালোলাগার অনুভূতি জাগায় না, একইসঙ্গে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করে।
‘কমপ্রিহেনসিভ সাইকোলোজি’ জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে আলিঙ্গন করলে ‘অক্সিটসিন’ হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদকম্পনের হার কমায়।
‘এনালস অব বিহ্যাভিওরাল মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত অপর একটি গবেষণায়ও দেখা গেছে যে, পরষ্পরের স্পর্শের ফলে মানবদেহে এমন কিছু হরমোন নিঃসৃত হয় যা রক্তচাপ কমায়।
এদিকে ‘সাইকো নিউরো এন্ডোক্রিনোলোজি’ জার্নালে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, প্রেম-ভালোবাসা বিভিন্ন ইনফেকশন ও এলার্জিজনিত সমস্যা প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।
অর্ধশত নারীর উপর পরিচালিত ওই গবেষণায় দেখা যায়, যারা প্রেম-ভালোবাসায় সময় ব্যয় করছে, তাদের দেহের অভ্যন্তরে এমন কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটেছে, যা ক্ষতিকর ভাইরাস ও জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
তাই প্রেম-ভালোবাসা শুধু আনন্দই দেবে না, একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখবে।