হাজার হাজার বছর ধরে প্রাকৃতিক মিষ্টতা আর ওষুধি গুণাগুণের কারণে বিশ্বজুড়ে মধুর কদর অদ্বিতীয়। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে প্রায় সব ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য এটি উপশম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। মধুর এমন কিছু পুষ্টিগুণ আছে, যা চুলের যত্নেও অতুলনীয়।
আসুন যেনে নেই কিভাবে চুলের যত্নে মধুর একটি বিশেষ ব্যবহার বা ‘হানিমাস্ক’ সম্পর্কে-
হানিমাস্কের উপকারিতা সমূহ
- শুষ্ক মাথার ত্বক আদ্র করে।
- চুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কমায়।
- চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- চুলের প্রাকৃতিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়
- চুল কোঁকড়ানো কম করে।
- চুল নরম করে।
- মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করে।
- বিশেষভাবে ব্যবহার করলে কোঁকড়া চুল সোজা হয়।

এবার চলুন শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য উপযুক্ত সাধারণ একটি হানিমাস্ক রেসিপি সম্পর্কে জেনে নিই-
যা যা প্রয়োজন
- ১/২ কাপ মধু
- ১/২ কাপ অলিভ ওয়েল
- মিক্স করার জন্যে বাটি
- একটি শাওয়ার ক্যাপ (এটি সাধারণত চুল ঢেকে রাখতে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং আপনার যদি শাওয়ার ক্যাপ না থাকে তাহলে বড় পলিথিন ব্যাগ দিয়েও কাজ হয়ে যাবে)।
ব্যবহারের নিয়ম
- ভেজা চুল পরিষ্কার করে নিন।
- আধা কাপ মধু আর আধা কাপ অলিভ ওয়েল বাটিতে ঢেলে নাড়তে থাকুন, ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- মিশ্রণটিকে মাইক্রোওয়েভে ২০ সেকেন্ডের জন্য হালকা গরম করুন। অথবা কোনো পাত্রে পানি নিয়ে আগুনের উপর বসিয়ে দিয়ে তার উপর বাটিটি ভাসিয়ে রেখেও মিশ্রণটি গরম করা যাবে।
- গরম হয়ে গেলে আবারও চামচ দিয়ে নাড়াতে থাকুন।
- মিশ্রণটির উষ্ণতা হ্রাস হয়ে মৃদু গরম হয়ে এলে সেটি আঙ্গুল বা ব্রাশ ব্যবহার করে চুলে লাগিয়ে নিন।
- এ পর্যায়ে উত্তম ফলাফলের জন্য অবশ্যই মাথায় শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে নিন বা পলিথিন দিয়ে মাথা ঢেকে দিন।
- এভাবে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে।
- চুল ধুয়ে ফেলুন এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করে উপাদানগুলি মাথা থেকে পরিষ্কার করুন।

বিশেষ রেসিপি
- আপনি চাইলে হানিমাস্কটিতে কলার ব্যবহার করতে পারে, বিশেষ করে যাদের মাথা চুলকানি আছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
- মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে চাইলে হানিমাস্ক রেসিপির সঙ্গে আধা কাপ দই এবং দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল যোগ করুন।
- কোঁকড়ানো চুল সোজা করতে চাইলে মিশ্রণটির সঙ্গে দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল এবং একটি ডিম ভেঙ্গে মিশিয়ে দিন।তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম
টাইমস/এনজে/জিএস