খুলনার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ

নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে খুলনা থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা।

সোমবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা এ ধর্মঘট শুরু করেন। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দুর-দূরান্তের যাত্রীদের।

পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, দুর্ঘটনার মামলায় জামিনসহ সড়ক আইনের কয়েকটি ধারায় সংশোধন চান তারা।

তাদের দাবি, আইন সংশোধনের পরই এটি কার্যকর করা হোক। এটা না করা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার অনুরোধ সত্ত্বে আইনটি সংশোধন ছাড়া বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে খুলনায় সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে শ্রমিকরা বাস চালাচ্ছেন না। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, নতুন পরিবহন আইনে কোনো কারণে দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে চালকদের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড এবং আহত হলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আমাদের এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই এবং বাস চালিয়ে আমরা জেলখানায় যেতে চাই না। বাংলাদেশে এমন কোনো চালক নেই যে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দিতে পারবে। কারণ একজন চালকের বেতন ১৫-২০ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, এসব কারণেই নতুন পরিবহন আইন সংস্কারের দাবি জানান শ্রমিকরা। নইলে তারা বাস চালাবেন না। সড়কে অবৈধ নসিমন-করিমন চলে তাদের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। এসব যানবাহন বন্ধ ও চালকদের জরিমানা করা হয় না। সব জেল-জরিমানা হয় বাসচালকের।

খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সোনা বলেন, শ্রমিকরা ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডের ভয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিচ্ছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই তারা এসব করছে। সকাল নয়টার পর থেকে সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খাগড়াছড়িতে বাস উল্টে প্রাণহানি ২ Oct 17, 2025
img
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 17, 2025
img
জীবিত থাকতে প্রশংসা করি না, চলে গেলেই যত আদিখ্যেতা : বাপ্পারাজ Oct 17, 2025
img
দাবি আদায়ে শহীদ মিনারে অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা Oct 17, 2025
img
সংসদ ভবন এলাকায় সংঘর্ষে ১০ আহত ঢামেকে Oct 17, 2025
img
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫১০ Oct 17, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে: এটিএম আজহার Oct 17, 2025
img
কিং খানের মান্নাতে এবার জ্বলবে না দীপাবলির আলো Oct 17, 2025
img
জুলাই শহীদ পরিবারগুলোকে রাস্তায় নামতে হয়েছে, এটা লজ্জার: জামায়াত আমির Oct 17, 2025
img
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে Oct 17, 2025
img
হলিউডে নতুন বিচ্ছেদ: টম ক্রুজ ও আরামাসের সম্পর্ক ভাঙল Oct 17, 2025
img
চট্টগ্রাম থেকে ফিরলেন আফিদারা, ভুটান সফর শেষে ফিরলেন ঋতুপর্ণারা Oct 17, 2025
img
মাদাগাস্কারের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন রান্ড্রিয়ানিরিনা Oct 17, 2025
img
‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ সাইফের ব্যাটে সেঞ্চুরি চান সিমন্স Oct 17, 2025
img
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে আটক ১৪৪ Oct 17, 2025
img
নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে : ইউজিসি Oct 17, 2025
img
কিংবদন্তি গিটারিস্ট ফ্রেহলি আর নেই Oct 17, 2025
img
বাংলাদেশ ও এই দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত: হামজা Oct 17, 2025
img
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা Oct 17, 2025
img
নিরপেক্ষ নির্বাচনের সব পদক্ষেপ নেবে সরকার: অ্যাটর্নি জেনারেল Oct 17, 2025