বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি নির্বাচন বর্জন করেছে বিরোধী দল ও জোট। সর্বশেষ সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটও বর্জন করেছে বিরোধী জোট।
বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ভোট বর্জন শুরু করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বার ভোট বর্জন করেছে।
বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোট বর্জনের সূচনা হয় ১৯৮৬ সালের ৭ই মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে। এ নির্বাচনে ভোট বর্জন করে বিএনপি। এ নির্বাচনে ভোট পড়ে প্রায় ৬১.১ শতাংশ। এই নির্বাচনে ১৫৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে জাতীয় পার্টি।
তারপর দ্বিতীয়বার ভোট বর্জন করা হয় ৩রা মার্চ ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ,বিএনপি, জামাতসহ সব বড় দল নির্বাচন বর্জন করে। জাতীয় পার্টির নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আসন পায় এ নির্বাচনে। ৩০০ আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টি পেয়েছিল মোট ২৫১টি আসন। ভোট সংগৃহীত হয় ৫২.৫ শতাংশ ।
এরপর ভোট বর্জন করা হয় ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন বর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সব বড় দল। এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি পায় ২৭৮টি আসন। এতে ভোট পড়ে মোট ভোটারের মাত্র ২১ শতাংশ। এই সংসদ স্থায়ী ছিল মাত্র ১২ দিন।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপি ও বিশদলীয় জোটসহ অধিকাংশ বড় দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ নির্বাচন বর্জন করে। এতে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদন্দিতায় বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীরা। বাকি ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়।
পঞ্চমবারের মতো সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ঐক্যফ্রন্ট। এই জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কারচুপি ও বিভিন্ন অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে। এতে ২৯৯ টি আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৮৮ টি আসন।
টাইমস/এএইচ/এইচইউ