রাজনীতিতে বাড়ছে নারীর ক্ষমতায়ন

সারাবিশ্বে বাংলাদেশ একটি চিরচেনা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করলেও বর্তমানে অন্য একটি নামে পরিচিতি লাভ করেছে। সেটি হলো বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়ন। একাদশ নির্বাচনে নারীদের ক্ষমতায়নে গনতন্ত্রের এক উজ্জ্বল নজির গড়লো বাংলাদেশ।

১৯৭১ সাল থেকেই নারীরা বাংলাদেশে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। তারা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাহিত্যিক, প্রতিষ্ঠানিক বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন জানান দিচ্ছে বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়নের সেই কথা গুলোই। এ নির্বাচনে নারী এমপি হিসাবে ২২ জন সংসদ সদস্য শপথ নিবেন।

আমাদের পাশের রাষ্ট্র ভারতে বর্তমান সময়ে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যা চার জন। পশ্চিমবঙ্গ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজস্থান- বসুন্ধরা রাজে, গুজরাট-আনন্দীবেন প্যাটেল, তামিলনাড়ু- জয়ললিতা। সারা ভারতের ২৯ বিধানসভায় সর্বমোট মহিলা মন্ত্রীর সংখ্যা মাত্র ৩৯। যেখানে পুরুষদের সংখ্যা ৫৫৬ জন।

ইউরোপের ১৭টি দেশের (মোনাকোসহ) জাতীয় আইনসভার ৩০ শতাংশের বেশি সদস্য নারী। ২০১৭ সালে পৃথিবীর নানা দেশে নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যায় নারী ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তখন তেমন বড় ধরনের কোনও সাফল্য ছিলনা। নারী এমপিদের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে যায় ইউরোপ, কিন্তু একইসঙ্গে বড় ধরনের পরাজয়ের রেকর্ডও গড়ে।

২০১৭ সালের জুন মাসে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে রেকর্ড সংখ্যায় নারীদের নির্বাচিত করা হয়, ন্যাশনাল এসেম্বলির ৫৭৭ পদের মধ্যে ২২৩টি পায় নারীরা।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেয তার ১৭ জনের শক্তিশালী মন্ত্রিসভা সদস্যদের মধ্যে ১১জনই বাছাই করেছেন নারীদের মধ্য থেকে। তিনি বলেন তার নতুন মন্ত্রিসভা “সেই একই দৃষ্টিভঙ্গি বহন করে যেখানে প্রগতিশীল সমাজের কথা ভাবা হচ্ছে যা একসঙ্গে আধুনিক এবং প্রো-ইউরোপিয়ান।”

২১ বছর পরে তালিকার শীর্ষে থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্য এসেছে এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোকে টপকে যায় রুয়ান্ডা এবং মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশ ।

বলিভিয়া, গ্রেনাডা, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা এবং কিউবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ এগুলো সবই শীর্ষ দশম অবস্থানে আছে যেখানে নারী সংসদ সদস্য সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশি।

 

টাইমস/এসআর/এইচইউ

Share this news on: