দয়াগঞ্জে তিন রাস্তার মোড়ে শহীদ মিনারটি স্থানান্তরের দাবি

তিন বছর আগে স্থানীয় কিছু যুবকের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জে তিন রাস্তার মোড়ে একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। তবে রাস্তার মাঝখানে হওয়ায় এটিকে এখন রক্ষণাবেক্ষণ করা দূরহ হয়ে পড়েছে।

এছাড়া যানবাহনের ধাক্কায় ভাষাশহীদদের জন্য নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটি দিন দিন ভেঙে যাচ্ছে। তাই তাদের সম্মানে শহীদ মিনারটি সরিয়ে অন্যত্র নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, তিন বছর আগে মীর হাজারীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের কিছু যুবক শহীদ মিনারটি তৈরি করে। তিন রাস্তার মাঝখানে নির্মিত শহীদ মিনারের চারপাশে তখন কোনো বেষ্টনী ছিল না।

তিন মাস আগে শহীদ মিনারটি রক্ষায় এর চারপাশে ইট দিয়ে গোলচত্বর বানানো হয়। শহীদ মিনারের নিচের অংশেও চারপাশে টাইলস দিয়ে গেঁথে দেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রথমে কিছু যুবক ছোট আকারে শহীদ মিনারটি তৈরি করে। তবে মিনারটি তিন রাস্তার মোড়ে হওয়ায় বিভিন্নভাবে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তারা আরও জানান, অনেক সময় চালকরা শহীদ মিনার চত্বরে যানবাহন তুলে দেন। এতে দিন দিন শহীদ মিনারটির চারপাশ ভেঙে যাচ্ছে। 

এছাড়া তিন রাস্তার মোড়ে হওয়ায় শহীদ মিনারটি রক্ষণাবেক্ষণ করাও সম্ভব হচ্ছে না। ভেতরে অনেক আগাছা জন্মেছে, ময়লা ও আবর্জনায় ভরে গেছে চারপাশ। বছরের নির্দিষ্ট দিন ছাড়া শহীদ মিনারটির কোনো যত্ন নেয়া হয় না। তাই শহীদ মিনারটি এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান তারা।

মীরহাজারীবাগের আওয়ামী লীগের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ইমতিয়াজ আহম্মেদ ডালিম বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, ‘শহীদ মিনারটি যখন তৈরি করা হয়, তখন আমরা কেউই জানতাম না। তিন রাস্তার টার্নিং পয়েন্টে এটি নির্মাণ করায় যে কোনো গাড়ি শহীদ মিনার চত্বরের ওপরে উঠে যায়। এতে আসলে শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হচ্ছে।’

তিনি শহীদ মিনারটি এখান থেকে সরানোর পক্ষেও মত দেন। 

ক্ষমতাসীন দলের এ নেতা বলেন, শহীদ মিনারের পাশেই রেলওয়ের অনেক জায়গা রয়েছে। ভালো একটা জায়গায় শহীদ মিনারটি স্থানান্তর করলে এলাকাবাসী অনেক খুশি হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর হাজারীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল হক সবুজ বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কিছুই করতে পারবো না। তবে যা করার আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা  করতে পারেন। তারা চাইলে এটি স্থানান্তর করতে পারেন।’

 

টাইমস/টিআর/এক্স

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিশ্ব প্রতিযোগিতায় শুধু ডিগ্রি নয়, প্রয়োজন সক্ষমতাও : আসিফ নজরুল Dec 22, 2025
img
গ্রিস উপকূলে নৌকা থেকে ৪৩৭ জন বাংলাদেশি অভিবাসী উদ্ধার Dec 22, 2025
তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ফেনীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা Dec 22, 2025
নারীদের লেখা গল্পে আবেগের সত্যতা আলাদা হয়: কৃতিকা কামরা Dec 22, 2025
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনে জাঁকজমকপূর্ণ গান উৎসব Dec 22, 2025
চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে যা বললেন অধিনায়ক মিঠুন Dec 22, 2025
মরক্কোতে শুরু আফ্রিকা কাপ, শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে চব্বিশ দল Dec 22, 2025
মুশফিক ভাইয়ের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে: আকবর আলী Dec 22, 2025
হলান্ডের জোড়া গোলে শীর্ষে ম্যানসিটি, নাটকীয় ম্যাচে জয় লিভারপুলের Dec 22, 2025
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ২০০ নেতাকর্মী ও সমর্থক যোগ দিলেন বিএনপিতে Dec 22, 2025
img
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঘুরে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা হয়নি : ইফতেখারুজ্জামান Dec 22, 2025
ভোটে প্রার্থীর নিরাপত্তায় প্রটোকল তৈরি করা হয়েছে: ইসি সানাউল্লাহ Dec 22, 2025
ফয়সালের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার কৌশল হতে পারে: অতিরিক্ত আইজিপি Dec 22, 2025
img
ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ আয়োজনের ঘোষণা আফগানিস্তানের Dec 22, 2025
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় শেষ মুহূর্তের সমন্বয় Dec 22, 2025
যে কারণে সন্তানদের নিয়ে কবর জিয়ারতে আসলেন এই নারী! Dec 22, 2025
২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের আগমন, প্রস্তুত পুলিশ–সিএসএফ–এসএসএফ Dec 22, 2025
সকল বৈচিত্র্যকে ধারণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে চায়: সামান্তা শারমিন Dec 22, 2025
img
শীতে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পাঁচ ভেষজ উপাদান Dec 22, 2025
img
চতুর্থ টেস্টে বিশ্রামে থাকতে পারেন প্যাট কামিন্স! Dec 22, 2025