বইমেলায় জমে উঠেছে ‘শিশু প্রহর’

প্রতিবারের মতো এবারও একুশে গ্রন্থমেলায় শিশুদের জন্য করা হয়েছে শিশু প্রহর কর্নার। এই কর্নারটি বেশ বড় ও সারাক্ষণ আনন্দ মুখর থাকে।

বইমেলার দ্বিতীয় দিন শনিবার লোক সমাগম তেমন ছিল না। তবে শিশুদের স্টলগুলোতে শিশু ও অভিভাবকদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিশুদের স্টলগুলোতে টেবিলে সারি সারি বই রাখা হয়েছে। অনেকে বই পড়ছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সী শিশুরা স্টল ঘুরে ঘুরে বই দেখছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই কর্নারটিতে অনেক শিশু ও অভিভাবকদের দেখা গেছে।

নাহিয়ান নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী তার বাবা-মার সঙ্গে এসেছে শিশু প্রহর কর্নারে। পছন্দের বই কিনতে স্টলে স্টলে ঘুরছে সে।

নাহিয়ানের বাবা আসাদুল হক বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, ছেলেকে বই কিনে দিতেই বইমেলায় এসেছি। ভালো বই পেলে ছেলেকে কিনে দেব।

মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিথিল আহমেদ বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, গত বছরের মতো এবারও আমি মায়ের সঙ্গে একুশে গ্রন্থমেলায় বই কিনতে এসেছি। বিজ্ঞান এবং ছোটদের গল্পের বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। তাই তো সিসিমপুরের বেশ কিছু বই সংগ্রহ করেছি।

স্টলে বই কিনতে এসেছে চার বছর বয়সী শিশু আদনাব সাকিব। সে বলল, আমি কার্টুন দেখতে ভালোবাসি। তাই আমি কয়েকটি কার্টুনের বই কিনেছি।

আবুল কাউসার (১৬) যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। সে জানায়, গল্পের বই পড়তে তার খুব ভালো লাগে। তাই মেলায় এসে হুমায়ূন আহমেদের দুইটি বই কিনেছে।

শিশুতোষ প্রকাশনীর প্রগতি পাবলিশার্সের প্রকাশক আসরার মাসুদ বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও শিশুদের জন্য বেশ কিছু চমকপ্রদ বই প্রকাশিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রন্থমেলায় শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে থেকে 'শিশু প্রহর' সুবিধা চালু করে বাংলা একাডেমি। মেলার প্রতি শনিবার শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান ও বইয়ের সংগ্রহ রাখা হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু কর্নারে শিশুতোষ বইয়ের সংগ্রহ বেশি পাওয়া যায়।

 

টাইমস/টিআর/এক্স

Share this news on: