চট্টগ্রামে কথিত বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার দুই সপ্তাহও অতিক্রম হয়নি। খেলনা পিস্তল দিয়ে পলাশ আহমেদ নামে এক ব্যক্তির বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছিল। তখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবু কি বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে?
চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আসেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি তার ব্যাগে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তলটি বাসায় রেখে আসতে ভুলে যান বলে জানান। নভো এয়ারের বুকিং কাউন্টারে গিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, তার সঙ্গে একটি নাইন এমএম পিস্তল আর ১০ রাউন্ড গুলি আছে, যা তিনি ভুলে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের প্রথম গেটের স্ক্যানারে পিস্তলটি ধরা পড়েনি। তিনি পিস্তলটি সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে যেতে যান। তাৎক্ষণিক শাহজালাল কর্তৃপক্ষ চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই দফা ব্যাগ ও দেহ তল্লাশি করেছে। কিন্তু কেন পিস্তলটা শো করল না? আমি খুব অবাক হয়েছি।’
পিস্তল সঙ্গে নিয়ে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্ক্যানিং মেশিন পার হওয়ার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর পলাশ আহমেদ নামে এক যুবক খেলনা পিস্তল নিয়ে ক্রুদের জিম্মি করেন। দুবাইগামী ওই ফ্লাইটটি এরপর চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করলে যাত্রী এবং কেবিন ক্রুরা বাইরে আসার পর কমান্ডো অভিযানে ওই যুবক মারা যান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ওই বিমানটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল।
টাইমস/এসআই