বান্দরবানের সীমান্তবর্তী তমব্রু এলাকার ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের ৩০০ মতো পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে আলোচনা চলছে তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মিয়ানমার সীমান্তে গত রাতেও মর্টারের গোলা বর্ষণের শব্দ পাওয়া গেছে। তবে সোমবার সকালে কোনো গোলাগুলির খবর পাওয়া যায় নি।
বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সকালে বান্দরবানের তমব্রু থেকে রেজু আমতলী পর্যন্ত এলাকাটি পরিদর্শন করার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসকের।
জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা গেছে, নোম্যান্স ল্যান্ডের ৫ শ থেকে ৬ শ গজের মধ্যে যে সব গ্রাম রয়েছে সেগুলোর বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার আলোচনা চলছে।
সীমান্তের কাঁটাতার বেড়া সংলগ্ন তমব্রু, ঘুমধুম, হেডম্যানপাড়া, ফাত্রা ঝিড়ি, রেজু আমতলী এলাকায় বসবাসকারী এসব পরিবারের প্রায় দেড় হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে নেওয়া যায় কি-না তা নিয়ে সভায় পর্যালোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেছেন, উপজেলা প্রশাসনের বৈঠকে এই নিয়ে কথা হয়েছে। তবে বৈঠকে জানানো হয়, ঘুমধুম ইউনিয়নে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় তাৎক্ষণিক এ পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি কঠিন হয়ে যাবে।
এ ছাড়া স্কুলগুলোতেও থাকার কোনও পরিবেশ নেই। একপর্যায়ে কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।