সব অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিনিময়ের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, আগামীর বাংলাদেশ গঠনে আমরা পদে পদে অন্তরায় দেখছি। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ (ভারত), তারা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা তাদের সঙ্গে সব প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চাই।
কিন্তু সাম্প্রতিককালে তাদের কিছু ভূমিকা অত্যন্ত উসকানিমূলক, অসহিষ্ণু ও অগ্রহণযোগ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্যের ওপর নির্ভর করে তারা বাংলাদেশকে কলুষিত করতে, অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে ব্যর্থ করতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। বৈঠকে আমরা সম্মিলিতভাবে এসবের নিন্দা জানিয়েছি। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়, এ ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে আমরা সবাই যেমন একমত ছিলাম, এমনটা অব্যাহত থাকবে। এ ক্ষেত্রে নানা পরামর্শ এসেছে, রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়ও হয়েছে। নাগরিক, ছাত্র সংগঠন ও সাংবাদিকদের সঙ্গেও মতবিনিময় হবে। আমরা সে প্রস্তাব দিয়েছি। সব অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সরকারের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় ঘোষণা আসবে। আমরা সেই ঘোষণার অপেক্ষায় থাকবো।
জামায়াত আমির বলেন, আমাদের যার যা পরামর্শ তা দিয়ে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবো। সবাই একটি বিষয় আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি, চরমপন্থা যেদিক থেকেই আসুক আমরা তা ঘৃণা করি এবং কোনো অবস্থায় আমরা এটিকে প্রশ্রয় দেবো না, মেনে নেবো না।
এদিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এতে জাতীয় পার্টি বাদে বিএনপি-জামায়াতসহ অধিকাংশ দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।