রাশিয়ার একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। এর মধ্যে সাতজনই শিক্ষার্থী। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলের একটি স্কুলে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসি, আল জাজিরা।
ইজহেভস্ক শহরে এক বন্দুকধারী ওই হামলা চালিয়েছে। হামলার পর পরই অ্যাম্বুলেন্স এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
কী কারণে ওই হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। বন্দুকধারী হামলা চালানোর পর পরই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হামলার সময় স্কুলটিতে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী এবং ৮০ জন শিক্ষক ছিলেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঘটনাস্থলের বেশি কিছু ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো স্কুলের ভেতরেই ধারণ করা যেখানে হামলা চালানো হয়েছে। স্কুলের জানালায় একটি বুলেটের ছিদ্র দেখা গেছে এবং সেখানে ডেস্কের নিচে শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে স্কুলের মেঝেতে রক্ত পড়ে আছে। ওই হামলাকারীর কাছে সম্ভবত দুটি পিস্তল ছিল বলে তাস নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইজহেভস্ক শহরের একেবারে কেন্দ্রে ওই স্কুলটি অবস্থিত। ওই শহরের বাসিন্দা প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। ইতোমধ্যেই স্কুলটি থেকে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় দুই নিরাপত্তারক্ষী, দুই শিক্ষক এবং সাত শিশুসহ মোট ১৩ জন নিহত হয়েছে। তবে হামলাকারীর পরিচয় এখনো জানা সম্ভব হয়নি। তবে সে ওই স্কুলেরই প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
তদন্ত কমিটি হামলার ঘটনার পর একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, নাৎসি প্রতীক লাগানো টি-শার্ট এবং একটি বালাক্লাভা মুখোশ পরা হামলাকারী মেঝেতে পড়ে আছে।
স্থানীয় এক এমপি জানিয়েছেন, হামলাকারীর নাম আরতেম কাজানতসেভ। ওই অঞ্চলে আঞ্চলিক প্রধান আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শোক ঘোষণা করেছেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি এই হামলার ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত।