দক্ষিণ কোরিয়ার জরুরি সামরিক শাসন জারি করেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এক টেলিভিশন বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনী থেকে দেশকে রক্ষা ও রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান নির্মূলের জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেন, জনগণের জীবন-জীবিকার তোয়াক্কা না করে বিরোধী দল কেবল অভিশংসন, বিশেষ তদন্ত এবং তাদের নেতাকে বিচার থেকে রক্ষা করার জন্য শাসন ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
ইওল বলেন, আমাদের পার্লামেন্ট এখন অপরাধীদের জন্য আশ্রয়স্থল হয়ে গেছে। এটি একটি আইন প্রণয়নের স্বৈরতান্ত্রিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যা আমাদের উদার গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মাদক অপরাধ মোকাবিলা এবং জননিরাপত্তা বজায় রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর বাজেট কাটছাঁট করে দেশকে মাদকের অভয়ারণ্য এবং জননিরাপত্তাহীনতার অবস্থায় পরিণত করা হয়েছে।
ইওল বিরোধী দলকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যকে ‘শাসনব্যবস্থা পাল্টে দেওয়া’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি যত দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি নির্মূল করে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনব।
ইওলের এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন তার পিপল পাওয়ার পার্টি এবং প্রধান বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পরবর্তী বছরের বাজেট বিল নিয়ে তীব্র বিরোধে লিপ্ত।
সামরিক আইন কতদিন স্থায়ী হতে পারে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সামরিক আইন প্রত্যাহার করা যেতে পারে। তবে সেখানে বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তারা পার্লামেন্ট ভবনের প্রবেশপথ ঘিরে রেখেছে।