যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক বিতর্কে এবার নাম লেখালেন টেক জায়ান্ট ইলন মাস্ক। চায়নায় মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া এক্স নিষিদ্ধ থাকার পরও কেন চীনা প্রতিষ্ঠান টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে চালু থাকবে সে বিষয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন এই ধনকুবের।
টিকটকের নির্মাতা চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট বাইট ড্যান্স। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার প্রশাসনের অভিযোগ ছিল, চীনা সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করত অ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্ল্যাটফর্মে টিকটকের মালিকানা বিক্রি না করলে সেটি বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মালিকানা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় বাইটড্যান্স। দ্বারস্থ হয় আদালতের।
সেখানেও খুব একটা সুবিধা পায়নি চীনা কোম্পানিটি। সরকারের নির্দেশনাই বহাল রাখে আদালত। সে প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্ল্যাটফর্মে টিকটক বন্ধ করে দেয় বাইটড্যান্স।
অবশ্য একদিন পরেই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শপথ থাকায় বিষয়টি সমাধানে তার হস্তক্ষেপ চায় অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের কোটি কোটি টিকটক ব্যাবহারকারীর কথা মাথায় রেখে ফের সেটি চালু করার মৌখিক ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্ল্যাটফর্মে ফের চালু হয় টিকটক। প্রেসিডেন্ট শপথ নিয়েই আইনি ঝামেলা মেটাতে বাইটড্যান্সকে ৭৫ দিনের সময় দিয়ে নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ফলে দেশটিতে বৈধভাবেই আবার কার্যক্রম চালাচ্ছে টিকটক।
তবে টিকটকের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে মাস্ক জানান, টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে অবাধে চালু থাকলেও চীনে এক্স নিষিদ্ধ থাকা অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এ সিদ্ধান্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নীতির প্রতি দ্বৈত আচরণের প্রকাশ।
দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মালিকানা কিনতে আগ্রহী মাস্ক। এমনকি চীনের পক্ষ থেকেও মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্মকে অংশীদার করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন আছে। বলা হচ্ছে, সফল ও লাভজনক ব্যবসা টিকটকের অংশীদার হতে না পারার ক্ষোভ মেটাতেই ঘনিষ্ঠ মিত্র ট্রাম্পের বিরোধিতা করছেন মাস্ক।
টিএ/