স্থানীয় নয়, আগে জাতীয় নির্বাচন চান পার্থ

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক তা চান না বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম হয়। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা গত ছয় মাসের বর্ণনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন,সারা বাংলাদেশসহ আমরা নেতা কর্মীরা এ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি, আন্তর্জাতিক সমাজ দাঁড়িয়েছে, জাতিসংঘ দাঁড়িয়েছে, ফ্যাসিস্ট গভর্মেন্ট এই সরকারের নিয়ে যে পাঁয়তারা ছিল, বিভিন্ন মিথ্যে ফুলঝুরি ছিল আমাদের অবস্থানকে নিয়ে, জাতিসংঘের রিপোর্ট আসার পর অনেকটাই ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। আমাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ছাত্রজনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, তাদের আত্মত্যাগকে আমাদের কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই যেন অপমানিত না করে।তিনি বলেন, আগামী ৬ মাস কীভাবে সবাই একসঙ্গে কাজ করব, যে কমিশন গুলো কাজ হয়েছে, তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, আমাদের কি কি প্রস্তাব আছে সেগুলো আর কীভাবে বিস্তর আলোচনা করব, এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন।কোনো কোনো দল নির্বাচন কবে হবে? নির্বাচন তাড়াতাড়ি চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বৈঠকে ছোট ছোট অ্যাডভাইস দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই না। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। গ্রাউন্ড রিয়েলিটি আলাদা। আওয়ামী লীগকে গ্রাউন্ড রিয়েলিটিতে অনেকে মানে না, মেনে নেবে না। কোনো ধরনের সংস্কারের জন্য যেন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না হয়, সে বিষয়ে আমাদের তরফ থেকে বলেছি।

এর আগে, এদিন বিকেল ৩টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা গত ছয় মাসের বর্ণনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন,সারা বাংলাদেশসহ আমরা নেতা কর্মীরা এ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি, আন্তর্জাতিক সমাজ দাঁড়িয়েছে, জাতিসংঘ দাঁড়িয়েছে, ফ্যাসিস্ট গভর্মেন্ট এই সরকারের নিয়ে যে পাঁয়তারা ছিল, বিভিন্ন মিথ্যে ফুলঝুরি ছিল আমাদের অবস্থানকে নিয়ে, জাতিসংঘের রিপোর্ট আসার পর অনেকটাই ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। আমাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ছাত্রজনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, তাদের আত্মত্যাগকে আমাদের কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই যেন অপমানিত না করে।তিনি বলেন, আগামী ৬ মাস কীভাবে সবাই একসঙ্গে কাজ করব, যে কমিশন গুলো কাজ হয়েছে, তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, আমাদের কি কি প্রস্তাব আছে সেগুলো আর কীভাবে বিস্তর আলোচনা করব, এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন।কোনো কোনো দল নির্বাচন কবে হবে? নির্বাচন তাড়াতাড়ি চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত রয়েছেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, গণ ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন,  নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রমসহ নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

Share this news on: