বাৎসরিক ওরশ চলাকালে বরগুনার আমতলী উপজেলায় একটি মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। এর আগে রোববার (১৬ মার্চ) রাত ১২টার দিকে আমতলী পৌরসভার বটতলা এলাকার ইসমাইল শাহ নামক ওই মাজারে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমজান মাসে মাজারে ওরশ আয়োজন করতে মাজার কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করেন স্থানীয়রা। এরপরও মাজারটিতে বাৎসরিক ওরশের আয়োজন করা হয়। এতে নারী-পুরুষ সবাই একত্রিত হয়ে ওই মাজারে আসেন। বিষয়টি নিয়ে মাজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এলাকার বিভিন্ন মানুষের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গতকাল রাতে জনসাধারণ একত্রিত হয়ে মাজারটিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। পরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মাজারে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। পরে আগুন নিভানোর পরও দীর্ঘ সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম এবং স্থানীয়দের দাবি রমজান মাসে ওরশ আয়োজনকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে।
আমতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডার জেরেই এ হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএ/টিএ