তারেক রহমান প্রতিমুহূর্তে ঐক্যের কথা বলছেন: মির্জা ফখরুল

‘তারেক রহমান প্রতিমুহূর্তে গোটা জাতীর ঐক্য সৃষ্টি করে একটা গন্তব্যে যাওয়ার পথকে সুগম করার কথা বলছেন। তার প্রতিটি বক্তব্য গঠনমূলক।’ বলেছেনবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘তারেক রহমান: সংগ্রাম ও রাজনৈতিক যাত্রা’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৭ বছর আগে তারেক রহমান নির্বাসিত হয়েছেন। নির্বাসনে থেকেই তিনি কাজ করেছেন। নিন্দুকেরা, সমালোচকরা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বলতো, তারেক রহমান কোনদিন সফল হতে পারবেনা। তারেক রহমান এমন এক সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যখন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছিল । এটা যে কত কঠিন কাজ ছিল; যা তারেক রহমান করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান যে পথটা অনুসরণ করলেন তা ছিল ঠিক তার পিতার মত। সুদূরপ্রসারী চিন্তা, ভবিষ্যতকে দেখা এবং অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা; এটা তার পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন তিনি। তার পিতা প্রথম যে ক্যাবিনেট গঠন করেছিলেন তা ছিল গ্যালাক্সি অব ইন্টেলেকচুয়াল অর্থাৎ দেশের সবচেয়ে মেধাবীদের নিয়ে তিনি ক্যাবিনেট গঠন করেছিলন। তারেক রহমানও দেশের মেধাবীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং জানার চেষ্টা করছেন কিভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছি। আমার বিশ্বাস, তিনি ফিরে এলে দেশে অভূতপূর্ব ঐক্য সৃষ্টি হবে। জাতি সত্যিকারার্থে সঠিক নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে।’
খুলনার সংঘর্ষের বিষয়ে মহাসচিব বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই। একই সাথে প্রত্যাশা করি, সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন কারা এগুলো ঘটিয়েছে। গণতন্ত্রের কথা বলবেন অথচ আমার মত প্রকাশে বাঁধা দিবেন। এই ধরনের মানসিকতা নিয়ে কখনো মহৎ কিছু করা যাবেনা।’

তিনি বলেন, ‘সচেতনভাবে কেউ কেউ দেশে অস্থিরতা, নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। প্রত্যেকের দায়িত্ব হবে জনগনকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি ট্রানজিশন পিরিয়ড অতিক্রম করছি। আমাদের বিশ্বাস, তরুণ প্রজন্ম ও ছাত্ররা যেভাবে এগিয়ে আসছে তাতে করে আমাদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে। কেউই আমাদের ঐক্য নষ্ট করতে পারবেনা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুব কষ্ট হয় যখন দেখি দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এমন এমন কথা বলে, যার মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি হয়। অনুগ্রহ করে কেউ দায়িত্বহীন কথা বলবেন না। এমন কথা বলবেন না যে কথার জন্য জাতি আবারও বিভক্ত হবে। যাতে করে জুলাইয়ের সমস্ত অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী। 

Share this news on:

সর্বশেষ