চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের (ছোট সাজ্জাদ) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রবিবার(১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দীন কালের কণ্ঠকে জানান, তাহসিন হত্যা মামলায় সাজ্জাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে , শনিবার ঢাকা থেকে সাজ্জাদ হোসেন ( ছোট সাজ্জাদকে) গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া এলাকায় তাহসিন নামের এক ব্যবসায়ীকে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর গুলি করে হত্যা করা হয় । এ ঘটনায় সজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে প্রধান অসামি করে মামলা করেন তাহসিনের পরিবার। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে পেটানোর হুমকি দিয়েছিল সাজ্জাদ। এরপর সাজ্জাদকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে পলাতক আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের সহযোগী হিসেবে এই সাজ্জাদ অপরাধ জগতে পা রাখেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির অভিযোগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন অনন্যা, শীতলঝর্ণা, কালারপুল, হাটহাজারীর কুয়াইশ, নগরের চান্দগাঁও হাজীরপুল ও পাঁচলাইশ এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জনের বাহিনী নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান সাজ্জাদ।
চাঁদাবাজি, জমি দখল থেকে শুরু করে সেখানকার পুরো অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এ ছাড়া গেল বছরের ২৯ আগস্ট নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে মাসুদ কায়সার (৩২) ও মোহাম্মদ আনিস (৩৮) নামে দুজনকে হত্যা করা হয়।
এ চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের ঘটনার দুই মামলায় সাজ্জাদ ও তার সহযোগীদের আসামি করা হয়। গত ২১ অক্টোবর চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকার শমশের পাড়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে আফতাব উদ্দিন তাহসিন (২৬) নামে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে।
মাইক্রোবাসে চড়ে এসে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যান । গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানার কালারপুল এলাকায় শটগান হাতে সাজ্জাদ হোসেনসহ আরো দুজন গুলি করতে করতে একটি নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করেন।
এরপর ওই ভবন মালিকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ছাড়া গত বছরের ৫ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন মোড় এলাকার একটি সাত তলা ভবনের পঞ্চম তলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখান থেকে পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে যায় সাজ্জাদ। গুলিতে পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এসএস/টিএ