একটি টুর্নামেন্ট, একটি স্বপ্ন, আর দুটি ম্যাচ। দুবাইয়ের রাতের আলো নিভে গেছে, কিন্তু রাওয়ালপিন্ডির মাটিতে জ্বলে উঠতে চায় লাল-সবুজের আগুন! সেমিফাইনালের দরজা এখনো খোলা, কিন্তু শর্ত একটাই, আগামী দুই ম্যাচে জয় আনতে হবে যে কোনো মূল্যে। বাংলাদেশ কি পারবে অসম্ভবকে সম্ভব করতে?
দুবাইয়ের আলোকজ্জ্বল শহরে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়। হতাশা আর যদি কিন্তু’র সমীকরণ পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দল এখন নতুন আশার আলো খুঁজছে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। গ্রুপ পর্বের বাকি দুটি ম্যাচেই জয় চাই, তাহলেই শেষ চারের সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি, স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে মহারণ। ম্যাচ দু’টিতে জয় পেলেই ৫ মার্চ লাহোরে হবে সেমিফাইনালের লড়াই। ফাইনালে উঠলে আবারও ফিরতে হবে দুবাইয়ে, সেই কাঙ্ক্ষিত ট্রফির স্বপ্ন নিয়ে।
কিন্তু চ্যালেঞ্জ বিশাল। ভারতের বিপক্ষে টপ অর্ডারের ভাঙন, কম রানের সংগ্রহ আর পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের উইকেট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে জিততে হলে ৩৫০ রানও যথেষ্ট নাও হতে পারে।
কোচ ফিল সিমন্সের বার্তা স্পষ্ট। শুরুর ব্যাটারদের ভালো শুরু করতে হবে, আর সেট হয়ে গেলে ইনিংস শেষ করে আসতে হবে। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও চাই দায়িত্বশীল ব্যাটিং। ইতিবাচক দিক হলো, ইনজুরি থেকে ফিরছেন তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ।
তবে শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না, মাঠে বাস্তবায়ন করতে হবে। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে হলে দলকে খেলতে হবে সাহসী ক্রিকেট। শক্তিশালী বোলিং লাইনআপকে মোকাবিলা করতে স্পিন ও পেসের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে উদ্ভাবনীতা আনতে হবে।
তবে বিশ্বাস এখনো আছে। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা জানেন, এখনো সব শেষ হয়নি। শেষ চারের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে, নতুন শহরে নতুন দিনের সূচনা হবে আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ়তায়। এখন দেখার পালা, বাংলাদেশ কি পারবে সেই চ্যালেঞ্জ উতরাতে?