দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। রোজা শুরু হবার পূর্বে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়াচ্ছে আরব আমিরাত। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শত শত টন খাদ্য কার্গো বিমানে নিচ্ছে সেচ্ছাসেবকরা। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সপ্তাহে আরব আমিরাত থেকে বিস্তৃত মানবিক সহায়তা বহনকারী পাঁচটি কনভয় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর জন্য ইতোমধ্যে রওনা দিয়েছে।
এছাড়াও মিশর থেকে গাজায় ৭৩টি ট্রাক ত্রাণ পরিবহন করছে যার মধ্যে ১,১৮৫ টনেরও বেশি খাদ্য, তাঁবু এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছিলো। অন্যদিকে, ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতির আওতায় মিশর থেকে মোবাইল হোমের প্রথম চালান গাজা উপত্যকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মিশরীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে গত ১৫ মাসের ভয়াবহ যুদ্ধে ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯০ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, গত মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে সাহায্যের পরিমাণ বেড়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে অপারেশন চিভালরাস নাইট ৩-এর অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৫৭ টন খাদ্য সরবরাহ গাজার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
হামাদ বিন মোহাম্মদ আল-শারকি ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটেরিয়ান ওয়ার্কস এবং ফুজাইরাহ চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন বা এফসিএ-এর যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ফুজাইরাহ থেকে ত্রাণ সরবরাহগুলো পাঠানো হয়েছিলো।
এফসিএ-এর চেয়ারম্যান সাঈদ বিন মোহাম্মদ আল-রাকবানি বলেছেন যে এই উদ্যোগটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহায়তা প্রসারিত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য নেয়া হয়েছে। সংস্থাটি এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৩শ’ টনেরও বেশি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।