নীতা বা নীতু দু’জনেই ভুলে যেতে পারেন। কিন্তু সমাজমাধ্যমে নজর পেতে বসে থাকা নিন্দকেরা সে সব কি আর ভোলেন? সম্প্রতি নীতা আম্বানির পোশাকে দেখা গেছে নীতু কাপুরকে! লম্বাঝুলের কালো রঙের একটি কুর্তা; যার গলায় সোনালি রঙের জারদৌসি কাজ, প্রান্তে জরির লেস। কালো রঙের ওড়নায় সবুজ পাড়। তার ওপর সূক্ষ্ম সোনালি জরির কাজ। সঙ্গে সবুজ রঙের প্লাজো। ট্রাউজার্সের তলার দিকে স্কার্ট বর্ডারের পাড়। হ্যাঁ, হুবহু এক! পোশাকশিল্পী অনুরাধা ওয়াকিলের তৈরি এই পোশাকই নীতার পরনে দেখা গিয়েছিল বছর দশেক আগে।
রাজ কপূরের দৌহিত্র এবং রণবীর, করিশ্মা, করিনা কপূরদের পিসতুতো ভাই অভিনেতা আদর জৈনের বিয়ের অনুষ্ঠান। সেখানে অভিনেত্রী নীতু কপূর এসেছিলেন কালো রঙের একটি সালোয়ার স্যুট পরে। এখন মুশকিল হল, সেই একই পোশাক পরে বছর দশেক আগে নীতা অম্বানীকে দেখা গিয়েছিল অন্য একটি অনুষ্ঠানে।
বিপত্তিটা হলো, সেই একই পোশাক পরে বছর দশেক আগে নীতা আম্বানিকে দেখা যায় অন্য একটি অনুষ্ঠানে। আর সে থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পোশাক বিভ্রাটের মতো চর্চা।
ভারতের ধনকুবেরে মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির জ্যেষ্ঠপুত্র আকাশ এবং প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুর ও অভিনেত্রী নীতু কাপুরের পুত্র রণবীর- দুই বাড়ির দুই ছেলের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব স্কুল জীবন থেকেই। সেক্ষেত্রে ছেলেদের মায়েদের মধ্যেও হয় বন্ধুত্ব। কিন্তু সেই বন্ধুত্বে নিজেদের পোশাক আদান-প্রদান করার মতো সখ্যতা থাকতে পারে কি না, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠল!
তারকাদের সাধারণত এমন ভুল হয় না। এক পোশাক পরে তাঁরা সচরাচর জনসমক্ষে আসেন না। ইদানীং তুলনায় সাধারণ বিত্তের মানুষেরাও এই বিষয়ে সচেতন হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিক ভাবে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তা হলে কি ছেলেদের মতো তাঁদের মায়েদের বন্ধুত্বও এমনই গভীর যে, দু’জন দু’জনের কাছে পোশাক চেয়ে পরতে পারেন? এই ‘পোশাক-বিভ্রাট’ দেখে রীতিমতো চর্চা শুরু করে দিয়েছেন নিন্দকবর্গ।