দায়িত্ব নিয়েই দেড় হাজার কর্মী সরাচ্ছেন এফবিআই পরিচালক!

সহিংস অপরাধকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবে এফবিআই। সে লক্ষ্যে সংস্থাটির দেড় হাজার কর্মীকে সরিয়ে দিতে চান নতুন পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল। এমনটিই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

গেল ২১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা-এফবিআইয়ের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ক্যাশ প্যাটেল। হোয়াইট হাউসে শপথ নিয়েই তিনি নতুন পরিকল্পনার কথা জানান। বলেন, জনগণের প্রতি অঙ্গীকার রক্ষায় একনিষ্ঠ কাজ করবে এফবিআই। শপথ শেষে প্যাটেল বলেন, এফবিআইয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়াটা তার জীবনের ‘সবচেয়ে সম্মানজনক বিষয়’।

ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, শিগগিরই এফবিআইয়ের এক হাজার কর্মীকে দেশের বিভিন্ন মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ে সরিয়ে নিতে চান প্যাটেল। এ ছাড়া আরও ৫০০ কর্মীকে অ্যালাবামার হান্টসভিল এলাকায় এফবিআইয়ের একটি কার্যালয়ে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি। অবশ্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় ক্যাশ প্যাটেল যে পরিকল্পনাগুলোর কথা বলেছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

এক বিবৃতিতে এফবিআই বলেছে, পরিচালক প্যাটেল মার্কিন জনগণের প্রতি তার যে প্রতিশ্রুতি আছে, তা স্পষ্ট করেছেন। বলেছেন, এফবিআইয়ের সদস্যদের এমন হতে হবে যেন তারা সহিংস অপরাধ মোকাবিলাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেন। আর এই প্রতিশ্রুতি পূরণে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে ওই বিবৃতিতে সুনির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

২০ ফেব্রুয়ারি এফবিআইয়ের প্রধান হিসেবে ক্যাশ প্যাটেলের নিয়োগ অনুমোদন করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট। তার পক্ষে ভোট দিয়েছে ৫১ জন আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৪৯ জন। নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির দুজন আইনপ্রণেতা প্যাটেলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তারা হলেন মেইন অঙ্গরাজ্যের সুসান কলিন্স এবং আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের লিসা মুরকৌস্কি।

গত মাসে এফবিআইয়ের একদল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। এরই মধ্যে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনা তদন্তে অংশগ্রহণকারী কয়েক হাজার কর্মীর নাম প্রকাশেরও দাবি জানানো হয়েছে। এসব ঘটনায় এফবিআইয়ের অভ্যন্তরে অস্থিরতা চলছে। আর এর মধ্যেই সংস্থাটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ক্যাশ প্যাটেল।

বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই এই নিয়োগের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছেন। তাঁদের আশঙ্কা, ক্যাশ প্যাটেল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুগত হিসেবে কাজ করবেন। তিনি ট্রাম্পের বিরোধীদের বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের আইন প্রয়োগকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন।

মনোনীত হওয়ার আগে ক্যাশ প্যাটেল বলেছিলেন, তিনি সরকার ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত ট্রাম্পবিরোধী ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। আর সে প্রসঙ্গই এখন সামনে নিয়ে আসছেন ডেমোক্র্যাটরা।

Share this news on: