ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিভিন্ন উপায়ে নিবিড়ভাবে যুক্ত। একটি ভাল ঘুম আমাদের মানসিক অবস্থা পরিচালনা করতে সাহায্য করে। ঘুম একটি কার্যকর ইমিউন সিস্টেম তৈরি করে। একটি নিরবচ্ছিন্ন রাতের ঘুম আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা গঠন করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
তবে বয়সের উপর নির্ভর করে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা পরিবর্তিত হয়। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য গবেষণা অনুযায়ী, বয়সভেদে ঘুমের সময়ের গাইডলাইন রয়েছে।
জেনে নিন জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ কোন বয়সে আপনি কতটুকু ঘুমাবেন:
নবজাতক (০-৩ মাস):
প্রয়োজনীয় ঘুম ১৪-১৭ ঘণ্টা প্রতিদিন। নবজাতকদের ঘুম সাধারণত কয়েকটি ছোট সেশনে বিভক্ত থাকে।
শিশু (৪-১১ মাস):
প্রয়োজনীয় ঘুম ১২-১৫ ঘণ্টা। এই বয়সে রাতে দীর্ঘ ঘুম এবং দিনে ২-৩ বার ছোট ন্যাপ প্রয়োজন হয়।
টডলার (১-২ বছর):
প্রয়োজনীয় ঘুম ১১-১৪ ঘণ্টা। দিনে ১-২ বার ন্যাপের পাশাপাশি রাতে লম্বা সময় ঘুমানো দরকার।
প্রি-স্কুল বয়সী (৩-৫ বছর):
প্রয়োজনীয় ঘুম ১০-১৩ ঘণ্টা। দিনের ন্যাপের প্রয়োজন কমে আসে, তবে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
স্কুলগামী শিশু (৬-১৩ বছর):
প্রয়োজনীয় ঘুম ৯-১১ ঘণ্টা। শিক্ষার চাপ সামলাতে এই বয়সে ভালো ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিশোর (১৪-১৭ বছর):
প্রয়োজনীয় ঘুম: ৮-১০ ঘণ্টা। শরীরের বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে ঘুম অপরিহার্য।
তরুণ ও পূর্ণবয়স্ক (১৮-৬৪ বছর):
প্রয়োজনীয় ঘুম ৭-৯ ঘণ্টা। কর্মজীবন এবং দৈনন্দিন চাপ সামলাতে সুষম ঘুম দরকার।
প্রবীণ (৬৫ বছর ও তার বেশি):
প্রয়োজনীয় ঘুম ৭-৮ ঘণ্টা। বয়স বাড়ার সঙ্গে ঘুমের ধরন পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।