প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী ও আলোচিত চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।
অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রির এমডি ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (কোম্পানির নিবন্ধিত তথ্য অনুযায়ী), কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসেন, সাইকুল ইসলাম, মো. মিলন ও সাইদুল ইসলাম।
জানা যায়, এদিন ছয় আসামির আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদী শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী দুই পক্ষের মধ্যে আপস মীমাংসা হয়েছে বলে মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সার্বিক বিবেচনায় মামলাটি প্রত্যাহার করে আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।
জানা যায়, গার্মেন্টস ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার মূল্যের বিল পরিশোধ না করে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন আদালত মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলা দায়েরের এক বছরের মাথায় গত ২৭ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। ওই বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন।
আরজিতে আরও বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি, যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার।