মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা করে ১৩ বছর ধরে চলা রিটের কার্যক্রমের অবসানের দাবি জানায় তারা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালামের পক্ষ থেকে দপ্তর সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এরফান আহমেদ সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আপনারা অবগত আছেন, গত কিছুদিন যাবত সারাদেশের মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং তরুণ চিকিৎসকরা ‘ডাক্তার’ পদবি সংক্রান্ত ১৩ বছর ধরে চলমান রিটের নিষ্পত্তির দাবিতে আন্দোলনরত রয়েছেন। এরই সঙ্গে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে ৫ দফা দাবি পূরণে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। জনস্বাস্থ্যের বৃহত্তর স্বার্থে ৫ দফার সঙ্গে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।
দাবিগুলো হলো—
১. ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত রিটটি প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা, যা ২০১০ সালে স্বৈরাচারের প্রথম টার্মে প্রদান করা হয়।
২. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ আপডেট করা; এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করা।
৩. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে-
ক. দ্রুততম সময়ে শূন্যপদে ১০০০০ (দশ হাজার) ডাক্তার নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ষষ্ঠ গ্রেডে চাকরিতে প্রবেশপথ তৈরি।
খ. প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার ডাক্তার নিয়োগ প্রদান করে ডাক্তার চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা।
গ. চিকিৎসকদের বিসিএস এর বয়সসীমা ৩৪ এ উন্নীত করা।
৪. বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে ইতোমধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফ গণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এছাড়া উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট পদবির ব্যবহার চালু। উল্লেখ্য, এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।
৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা বিধানে সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আদালতে চলমান ২৭৩০/২০১৩ রিটটির চূড়ান্ত রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত হয়েছে। আমরা চাই এই পঁচিশ তারিখের রায়েই ১৩ বছর ধরে টানা ডাক্তার পদবি নিয়ে করা রিটের কার্যক্রমের অবসান হোক। স্বাস্থ্যসেবা মুক্তি পাক।