জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন নাসের। বিপ্লবীদের দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় নাগরিক পার্টির ২১৭ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কমিটির মেয়াদ এক বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষা ও রাজনৈতিক পথচলা
জায়েদ বিন নাসের ১৯৯৬ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং মিরপুরেই বেড়ে ওঠেন। কিশোর বয়স থেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। ২০১৩ সালে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এসএসসি ও ২০১৫ সালে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) আইন বিভাগে ভর্তি হয়ে ২০২০ ও ২০২১ সালে যথাক্রমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
তার নেতৃত্বগুণ ছাত্রজীবন থেকেই প্রকাশ পায়। ২০১৫ সালে নিজ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভোটে সেরা ছাত্র নেতা নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ল অ্যালায়েন্স প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০২২ সালে বিইউপি আইন অ্যালামনাই সমিতির প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে তিনি টানা দ্বিতীয় মেয়াদে একই দায়িত্ব পালন করছেন।
আন্দোলনে নেতৃত্ব ও আইনি ভূমিকা
জায়েদ ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে মিরপুরে নেতৃত্ব দেন। রংপুর গ্যাস আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক চাই এবং কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে নিজ প্রতিষ্ঠানের অনুজ ও মিরপুর এলাকায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
আইনজীবী ও সংগঠক হিসেবে রাজপথে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন। তিনি মেডিকেল সহযোগিতা, আইনি সেবা, এবং আন্দোলনকারীদের থানায় আটকের পর মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সরকারের নজরে আনতে নিয়মিত আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং লেখালেখি করছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যুক্ত হওয়া
২০২৩ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিসের অনুমতি পান জায়েদ। ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সদস্য হন। এক মাস নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার পর তিনি পদত্যাগ করেন। তবে ২০২৫ সালের ১ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।