গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই জন ব্রিটিশ ‘কূটনীতিক’কে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে রাশিয়া।
তাদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবা এফএসবি বলেছে, জাতীয় দূতাবাসের আড়ালে অঘোষিত ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের কর্মকাণ্ড প্রকাশ পেয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ব্রিটিশ দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ও ফার্স্ট সেক্রেটারির স্বামী। মস্কো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
এফএসবি’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি নেওয়ার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয়েছে। এতে রাশিয়ার আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য তাৎক্ষণিকভাবে এ অভিযোগের জবাব দেয়নি।
এফএসবি জানিয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের অ্যাক্রিডেশন বাতিল করেছে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে রাশিয়া ত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছে।
টেলিগ্রামে এক পোস্টে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসের একজন প্রতিনিধিকেও তলব করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে গোয়েন্দা কেলেঙ্কারির কারণে মস্কো ও লন্ডনের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়েছে।
২০০৬ সালে লন্ডনে বিষক্রিয়ায় রাশিয়ার সাবেক এজেন্ট ও ক্রেমলিন সমালোচক আলেকজান্ডার লিটভিনেনকোর হত্যাকাণ্ডের পিছনে মস্কোর হাত রয়েছে বলে যুক্তরাজ্য অভিযোগ করে।
এছাড়া গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যুক্তরাজ্য ও তার মিত্ররা ২০১৮ সালে রাশিয়ার বেশ কয়েকজন দূতাবাস কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে। তাদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত আমলের নার্ভ এজেন্ট নোভিচোক দিয়ে দ্বৈত এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপালকে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সোমবারের দুজন কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণাটি এমন সময়ে এসেছে, যখন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের দায় যুক্তরাষ্ট্রকে না দিয়ে ইউরোপের দিকে চাপানোর চেষ্টা করছে। কেননা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে।
এসএম/টিএ