সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি পাকিস্তান। বাবর আজমদের এমন ভরাডুবির পর সুনীল গাভাস্কার বলেছিলেন, ভারতের ‘বি’ দলও কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাবে পাকিস্তানকে। ভারতের সাবেক এই ব্যাটারের এমন মন্তব্যে চটেছেন ইনজামাম উল হক।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে লড়াই জমাতেই পারছেন না পাকিস্তান। রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হলেও আইসিসি কিংবা এসিসির টুর্নামেন্টে প্রতি বছরই খেলার সুযোগ হচ্ছে তাদের। সবশেষ তিন আইসিসি টুর্নামেন্টে গড়পড়তা পারফর্ম করেছে পাকিস্তান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ভারতের টিভিতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের দ্বৈরথ নিয়ে হাইপ তোলা হলেও মাঠের ক্রিকেটে সেটার প্রতিফলন দেখা যায় না। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, কোথাও ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান।
তবে পাকিস্তানের অবস্থান খুঁজে পেতে গাভাস্কারকে পরিসংখ্যান দেখতে বলেছেন ইনজামাম। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে না পারলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে পাকিস্তান। ১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত একে অপরের বিপক্ষে ১৩৬ ওয়ানডে খেলেছেন দুই দল। যেখানে ভারতের ৫৮ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানের জয় ৭৩ ম্যাচে।
ইনজামাম বলেন, ‘তাকে (গাভাস্কারকে) কেউ পরিসংখ্যান দেখতে বলুন। তাহলেই তিনি জানতে পারবেন পাকিস্তানের অবস্থান কোথায়। তার মতো একজন এমন মন্তব্য করায় আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। তিনি অনেক বড় মাপের ও সম্মানীয় ক্রিকেটার। কিন্তু এ ধরনের কথাবার্তা বলে তিনি নিজের লিগ্যাসিকে অবমূল্যায়ন করছেন। তার মুখে সামলে কথা বলা উচিত।’
গাভাস্কারকে খোঁচাও দিয়ে ইনজামাম বলেন, ‘ভারত ম্যাচ জিতেছে, তারা ভালো খেলেছে কিন্তু কিন্তু মিস্টার গাভাস্কারের পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো উচিত। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা থেকে বাঁচতে একবার তিনি শারজাহ থেকে পালিয়েছিলেন। বয়সে সে আমাদের চেয়ে বড়। তাই আমরা তাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু অন্য দেশ সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। আপনার দল নিয়ে যত খুশি প্রশংসা করুন। অবশ্যই সেই অধিকার আপনার আছে। কিন্তু অন্য দল নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য কুরূচিপূর্ণ।’
আরএইচ