গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৪

ইসরায়েলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার গাজা সিটিতে চারজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা।

পশ্চিম তীরে ৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল বাহিনী। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা এমন ‘সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্যবস্তু করেছে, যারা সেনাদের জন্য হুমকি তৈরি করছিল। এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, গাজা সিটির দক্ষিণে নেটসারিম এলাকায় একদল নাগরিকের ওপর ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়।

এতে চারজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন সম্পর্কে ভাই। সবাই ছিলেন বিশোর্ধ্ব পুরুষ।অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের বিমানবাহিনী ‘সন্দেহজনক তৎপরতায় লিপ্ত কয়েকজন সন্ত্রাসীকে’ হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে, যারা আইডিএফ সেনাদের জন্য হুমকি তৈরি করছিল। পরে এক পৃথক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানায়, দক্ষিণ গাজার আরেকটি বিমান হামলায় তারা এক যোদ্ধাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আজকের আগে দক্ষিণ গাজায় এক সন্ত্রাসীকে আইডিএফ সেনাদের ওপর নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ করতে দেখা যায়। হুমকি দূর করতে আইএএফ (বিমানবাহিনী) সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।’ তবে ওই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন কি না, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। এএফপি বলছে ইসরায়েল মার্চের শুরু থেকে গাজায় প্রায় প্রতিদিন বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।

সেনাবাহিনী বলছে, তারা বিস্ফোরক স্থাপন করা যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করছে। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর থাকা এক নাজুক যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল রয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের হামলাও অব্যাহত রয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি বাড়ানো নিয়ে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় মার্চের শুরুতে শেষ হলেও ইসরায়েল ও হামাস—দুই পক্ষই সর্বাত্মক যুদ্ধে ফেরার পথ থেকে বিরত রয়েছে।

হামাস বারবার যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার ও জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে আরো ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির পথ প্রশস্ত করবে।

তবে ইসরায়েল বলছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়ানোর পক্ষে।

এফপি/টিএ 

Share this news on: