বার্সেলোনার দুর্দান্ত কামব্যাকে অ্যাতলেটিকোর দুঃসময়

দীর্ঘ ৭০ মিনিট পর্যন্ত অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। তবে শেষর সময়ে সিমিওনের শিষ্যরা একে একে হজম করলো বার্সেলোনার করা ৪ গোল।

ঘরের মাঠে কদিন আগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে নাটকীয় হারের পর একটা দারুণ জয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল অ্যাতলেটিকোর সমর্থকরা। তবে রোজিব্লাঙ্কোসদের হতাশ করতে বার্সেলোনার সময় লাগলো ২৮ মিনিট।

ছয় মিনিটে শোধ করা হলো দুই গোল। ম্যাচ তখনো ড্রয়ের পথে। কিন্তু যোগ করা সময়ে বার্সেলোনা জালের ঠিকানা খুঁজে পেল আরও দুইবার। হতাশ ইয়ান ওবলাক, স্তব্ধ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো। স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া বার্সেলোনা ভক্ত আর পুরো ডাগআউট পুরোপুরি উল্লাসে মত্ত।

অ্যাতলেটিকোর মাঠে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে ৭১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনা জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে। দুর্দান্ত এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে ব্লু-গ্রানারা। যদিও সেটা গোল ব্যবধানের সুবাদে। আর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ আছে তিনে। তাদের সঙ্গে বার্সা-রিয়ালের পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারে।

গত ডিসেম্বরে লা লিগার ম্যাচে সরোলথের ৯৬ মিনিটের গোলে ২-১ গোলে অ্যাতলেটিকোর কাছে হেরেছিল বার্সেলোনা। গত মাসে কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগেও ৯৩তম মিনিটে গোল হজম করে ৪-৪ সমতায় ম্যাচ শেষ করেছিল অ্যাতলেটিকো। সেই দুই ম্যাচের জবাবটাই বোধকরি গতরাতে দিয়েছে বার্সেলোনা।

যদিও ছয় গোলের ম্যাচটায় প্রথম গোল এসেছে ৪৫ মিনিটে। ম্যাচের ৫ম মিনিটে লামিনে ইয়ামাল আর ৪৪ মিনিটে রবার্ট লেভানডফস্কি হতাশ হয়েছিলেন গোলবারের কারণে। তবে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে নিজেদের প্রথম শটেই গোল পেয়ে যায় অ্যাতলেটিকো। । বাঁ দিক থেকে আতোয়ানগ্রিজমান পাস দেন বক্সে। ফার্স্ট টাচে সেই বলটাই জুলিয়ানো সিমেওনে ঠেলে দেন হুলিয়ান আলভারেজের কাছে। সেটাকেই গোলে পরিণত করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

বিরতির পর ৫০তম মিনিটে ভালো সুযোগ পায় বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে ইয়ামালের নিচু শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। ৭০ মিনিটে বদলি সরোলথের কল্যাণে লিড ২-০ করে রোজিব্লাঙ্কোসরা। কনর গ্যালাঘারের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন নরওয়ের ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

তবে বার্সেলোনার ম্যাচে ফিরে আসার শুরুটাও সেখান থেকেই। ৭২তম মিনিটে ইনিগো মার্তিনেসের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করে ব্যবধান কমান লেভানডফস্কি। ৭৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করেন তরেস। রাফিনিয়ার ক্রসে কাছ থেকে হেডে বল জালে পাঠান এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।

যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সেলোনাকে আরেকবার উল্লাসে ভাসিয়ে এগিয়ে নেন ইয়ামাল। বক্সের বাইরে থেকে তার শট অ্যাতলেটিকোর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। আর যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফেরান তরেস।

এফপি/ এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ