বলিউডের ‘গ্রিক গড’ বলা হয় হৃতিক রোশনকে । কারণ স্বয়ং মাইকেল জ্যাকসন এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতার সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, তিনি হৃতিকের নাচের ভক্ত!
হৃতিকের অভিনয় থেকে ব্যক্তিত্বে- গত দু’দশক ধরে বুদ হয়ে রয়েছে আসমুদ্রহিমাচল ভারত। তবে লাখো ভক্তের হৃদয়ের মধ্যমনি হৃতিকই সামান্য এক কারণে নিজেকে বাথরুমে বন্দি করে রেখেছিলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
ছোট থেকেই কথা জড়িয়ে যেত হৃতিকের। সহজভাবে বললে, তোতলামোর সমস্যায় ভুগতেন অভিনেতা। নিজের চেষ্টায় তিনি তা কাটিয়ে উঠেছেন। কিন্তু সেই সমস্যা হৃতিককে কতটা ভুগিয়েছে, সেরকম অজানা একটি ঘটনার কথা জানালেন হৃতিকের বাবা তথা পরিচালক-প্রযোজক রাকেশ রোশন।
এক সাক্ষাৎকারে রাকেশ বললেন, “হৃতিককে দেখে আমার খুব কষ্ট হত। পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল, তার উপর ও বরাবরই ভদ্র। আর খুব বুদ্ধিমান। কিন্তু এই তোতলামোর সমস্যার জন্য ও নিজেকে আটকে রাখতে ঘরে। আমার স্পষ্ট মনে আছে, হৃতিক একবার দুবাইয়ে ছিল। সেখানে এক অনুষ্ঠানে হলভর্তি দর্শকের সামনে ওকে বলতে হত – ‘ধন্যবাদ, দুবাই।’ কিন্তু সেটুকু বলতে ওর ভারী সমস্যা হচ্ছিল। ঠিক করে ওই বাকি লাইনটুকুই বলতে পারছিল না। তার জন্য নিজেকে ও দু'ঘণ্টা ধরে বাথরুমে বন্ধ রেখেছিল। বারবার আউড়ে যাচ্ছিল ওই বাক্যটুকু, যাতে ও দর্শকের সামনে ঠিকঠাক বলতে পারে।”
রাকেশ আরও বলেন, “তোতলামোর সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিদিন সকালে উঠে হৃতিক এক ঘন্টা সংবাদপত্র পড়ত জোরে জোরে। ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু ভাষার। এভবেই খুব জেদে নিজের সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠিয়েছিল। গত ১২-১৪ বছর ধরে হৃতিক আর এই সমস্যার সম্মুখীন হয়নি।”
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে রাকেশ রোশনের পরিচালনায় রোম্যান্টিক-থ্রিলার 'কাহো না প্যায়ার হ্যায়'তে হৃতিকের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল আমিশা পটেলকে। এই ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় যাত্রা শুরু করেছিলেন আমিশা। হৃতিক-আমিশার পাশাপাশি এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অনুপম খের, সতীশ শাহ, দলীপ তাহিল, আশিষ বিদ্যার্থী, ফরিদা জালাল-এর মতো অভিনেতা, অভিনেত্রীরা।
আরএ/টিএ