বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে অর্থের বিনিময়ে শিল্পীর তালিকাভুক্তি, পুনঃপ্রচার করে নতুন হিসেবে বিল উত্তোলন ও প্রকল্পে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রামপুরা বিটিভি ভবনে পরিচালিত অভিযানে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা মিলেছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর নিশ্চিত করেছে।
দুদক জানায়, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে অর্থের বিনিময়ে ১ হাজার ৭৯১ জন শিল্পীর বিটিভিতে তালিকাভুক্তি, একই অনুষ্ঠান পুনঃপ্রচার করে নতুন হিসেবে বিল উত্তোলন, প্রকল্পে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে টাকা উত্তোলনসহ নানাবিধ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।
নথিপত্রের পর্যালোচনায় বেশ কিছু অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় টিম। বিল-ভাউচার সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ভাউচার সংগ্রহ করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র যাচাই সাপেক্ষে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিশেষ বরাদ্দের ৭৭টি প্রকল্পের প্রায় ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গোপালগঞ্জ হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। মোট ২০৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা প্রকল্পসমূহের মধ্যে ৫টি প্রকল্পের সরেজমিন পরিদর্শনে অনিয়ম ও জালিয়াতির নিম্নরূপ প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম। সার্বিক বিবেচনায় এনফোর্সমেন্ট অভিযানে সরকারি তহবিল ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা চিহ্নিত হয়েছে।