এই মূহূর্তে গাজার অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। দখলদার ইসরাইলের বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
এ নিয়ে গাজায় গত মঙ্গলবার থেকে নতুন করে চালানো বর্বর ইসরায়েলি হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা ৭১০ এবং আহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরা ও মিডল ইস্ট আই’র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিল আল-দারকান বলেন, জরুরি চিকিৎসা সেবার অভাবে অনেক আহতের মৃত্যু হয়েছে। কারণ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও ওষুধের সরবরাহের এখনো ঘাটতি রয়েছে।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু এবং তাদের বেশিরভাগেরই আঘাত গুরুতর।
এদিকে গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘের এক কর্মীও রয়েছেন। এছাড়া বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, তবে উদ্ধার অভিযান যন্ত্রপাতির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় উদ্ধারকর্মীদের কাজ করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গাজা এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। টানা ১৮ দিন ধরে সীমান্ত বন্ধ থাকায় খাবার, ওষুধসহ জরুরি সরঞ্জাম পুরোপুরি ফুরিয়ে গেছে’।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৬১,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১,১২,০০০-এর বেশি।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (ICC) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) গণহত্যার মামলাও চলছে।
তা সত্ত্বেও নিরীহ গাজাবাসীর ওপর অব্যাহতভাবে হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে বর্বর ইসরাইল। গাজার মানবিক সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন থাকলেও, ইসরাইলি আগ্রাসনের ভয়াবহতা কমার কোনো ইঙ্গিত এখনো মিলছে না।
এসএস/এসএন