লিবিয়া প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসের জরুরি নির্দেশনা

লিবিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অভিবাসনের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অভিবাসন-বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে, পাশাপাশি লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় লিবিয়া সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, শহরের প্রবেশপথ ও প্রধান সড়কগুলোতে কঠোর তদারকি, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন এবং মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করার নির্দেশ জারি করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে এবং বিভিন্ন শহরে তাদের আটকের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে রমজান মাসের পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপক আকারে আটক এবং প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের চলাফেরা সীমিত রাখা, নিজের পাসপোর্ট ও নিয়োগকর্তার আইডি কার্ড সবসময় সঙ্গে রাখা এবং নিয়োগকর্তা ও স্থানীয় কয়েকজন লিবিয়ান শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখা জরুরি।

এছাড়া অহেতুক বাইরে বা বাজারে দল বেঁধে ঘোরাঘুরি ও জনসমাগম এড়িয়ে চলা, প্রতিবেশী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ বজায় রাখা এবং আবাসস্থল যথাসম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। একইসঙ্গে প্রবাসীদের লিবিয়ার আইন, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন। জরুরি প্রয়োজনে প্রবাসীদের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছে দূতাবাস।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও লিবিয়া দুটি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ মুসলিম দেশ এবং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে সুদৃঢ়। লিবিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা সার্ভিস সেক্টর, স্বাস্থ্য, নির্মাণ ও অবকাঠামো খাতে দক্ষতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। ফলে বাংলাদেশিরা লিবিয়ার সাধারণ জনগণ, নিয়োগকর্তা এবং সরকারের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়া সরকারের বিশেষত পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠক করে প্রবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এ ছাড়াও দূতাবাস লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে।

আরএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ