জনগণ ভোট দিলে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জামায়াত :শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামী দেশে কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
 
জামায়াতের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে সব ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’য়ালা ভয় ও জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে।

শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাফরুলের তালতলা হালিম ফাউন্ডেশন স্কুল মাঠে কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত সহযোগী সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির।
 
থানা আমির উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু নাহিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
 
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দেশে হযরত ওমর (রা.) মতো সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এ কাজ করতে গেলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, মত-পথ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এজন্য সবাইকে সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর এক্ষেত্রে যুব সমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, বিশ্বের যত বড় বড় অর্জন সবই এসেছে যুব সমাজের হাত ধরেই। তাই দেশ ও জাতির এমন ক্রান্তিকালে দেশের নতুন প্রজন্মকেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।

তিনি বলেন, দুনিয়ার কোনো পরাশক্তির কাছে মাথানত করা হবে না। দেশ ও জাতির কল্যাণে নতুন প্রজন্ম যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মোমিন জীবনের প্রকৃত সাফল্যই হচ্ছে শাহাদাত। মূলত নবুয়াতের দরজা বন্ধ হলেও এখনো শাহাদাতের দরজা বন্ধ হয়নি। আর শাহাদাতের মৃত্যুই হচ্ছে সবচেয়ে সম্মান ও মর্যাদার। তাই মরতে যখন হবেই তখন আমাদের সকলের শাহাদাতের মৃত্যুই কাম্য।

তিনি নিজের জন্য শাহাদাতের তামান্নার কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যদি একজনেরও শাহাদাতের প্রয়োজন হয়, তাহলে সে শাহাদাত যেন আল্লাহ তা’য়ালা আমার জন্যই নসিব করেন। তিনি সবাইকে শাহাদাতের তামান্না উজ্জীবিত হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।


এমআর/টিএ




Share this news on:

সর্বশেষ

img
যুক্তরাজ্যে কমেছে ধনকুবেরের সংখ্যা May 18, 2025
img
যে ভোটের জন্য এত রক্তপাত সে ভোট আজও পেলাম না : রিজভী May 18, 2025
img
মৌসুম শেষের আগেই রাইটব্যাক নিশ্চিত করল লিভারপুল May 18, 2025
img
হাতে হাত রেখে এগোতে চায় তেহরান-ইসলামাবাদ May 18, 2025
img
দুপুরের মধ্যে ঝড়ের শঙ্কা, সতর্কতা পাঁচ অঞ্চলে May 18, 2025
img
একসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হাসপাতালের ১৪ নার্স May 18, 2025
img
গুরুর টোটকাতেই বদলে গেল শাহরুখের সিনেমার ভাগ্য May 18, 2025
img
গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ২০০ নিহত, ঘরছাড়া ৩ লাখ মানুষ May 18, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো : মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জন May 18, 2025
img
ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগে বড় ভাই গ্রেফতার May 18, 2025
img
যুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ফোন করবেন ট্রাম্প May 18, 2025
img
আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ May 18, 2025
img
সাইবার হামলার শিকার ক্রিপ্টো জায়ান্ট কয়েনবেইস May 18, 2025
img
বাজেটে পানি-স্যানিটেশনে টেকসই বরাদ্দের দাবি May 18, 2025
img
মামলা-সমালোচনার ভেতরেই মেডিটেশন ফিচার চালু করল টিকটক May 18, 2025
img
মেহেরপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ১০ May 18, 2025
img
২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি বিবেচনায় এনইসি বৈঠক আজ May 18, 2025
img
একই গল্পে সিনেমা বানাতে চান দুইজন May 18, 2025
img
আশুলিয়ায় ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করল ভোক্তা অধিকার May 18, 2025
img
গোপনে করেছিলেন বিয়ে, বোনের কাছে ফিরে কিনলেন নতুন বাড়ি May 18, 2025