ব্যালট পেপার ছাপানোর ঘোষণা দেওয়া সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার

‘প্রয়োজনে আমরা আলাদা ব্যালট পেপার ছাপাবো, যেখানে ধানের শীষ থাকবে’ এমন বক্তব্য দেওয়া যুবদল নেতা মাওলানা আবুল খায়েরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে তার প্রাথমিক সদস্যপদও।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সিদ্ধান্তক্রমে বুধবার দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার অধিনস্থ চান্দিনা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল খায়েরকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া, যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান, নির্বাচনে আলাদা ব্যালট পেপার ছাপানোর ঘোষণা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। তার এমন বক্তব্য দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছে। চিঠিতে সুনির্দিষ্টভাবে ‘ব্যালট পেপার ছাপানোর ঘোষণা’ উল্লেখ না করলেও মূলত ওই বক্তব্যের কারণেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদ্য বহিষ্কৃত চান্দিনা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাওলানা আবুল খায়ের বলেন, এখনও আমি কোনো চিঠি হাতে পাইনি। দল যদি আমাকে বহিষ্কার করে তারপরও দলের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই।

এদিকে, একই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে কুমিল্লা মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম নাসেরকেও বহিষ্কার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কংগাই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মাও. আবুল খায়ের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘প্রয়োজনে আমরা আলাদা ব্যালট পেপার ছাপাবো, যেখানে ধানের শীষ থাকবে’ এমন বক্তৃতা দিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় তোলেন।

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ড সিরিজের স্কোয়াডে পরিবর্তন আনল ইংল্যান্ড Sep 05, 2025
img
রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২ Sep 05, 2025
img
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে কাতারফেরত আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Sep 05, 2025
img
আমরা যেন আওয়ামী লীগ না হই: হাফিজ উদ্দিন Sep 05, 2025
img
বাংলাদেশের মাটিতে আমরা একটি নতুন রাজনীতি দেখতে চাই : শামা ওবায়েদ Sep 05, 2025
img
হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে লেবাননে মন্ত্রিসভার বৈঠক Sep 05, 2025
img
যেনতেন উপায়ে কারো চাপিয়ে দেওয়া নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না : ডা. তাহের Sep 05, 2025
img
বাকেরের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ ছাত্রদল সভাপতির Sep 05, 2025
img
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মূল রূপকার তারেক রহমান : রিজভী Sep 05, 2025
img
সালমানকে ছাড়িয়ে শাকিব অনেক ওপরে চলে গেছে : ঝন্টু Sep 05, 2025
img
প্রকৃত সংস্কারের আগে মানসিক সংস্কার দরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায় Sep 05, 2025
img
ফরিদপুরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ Sep 05, 2025
img
অং সান সু চির বেঁচে থাকা নিয়ে ছেলের সংশয় প্রকাশ Sep 05, 2025
তাহসানের সন্তান, গুঞ্জন সত্যি নাকি শুধুই কল্পনা? Sep 05, 2025
কেন বললেন অপূর্ব, ভালোবাসা বদলে যায় ঘৃণায়? Sep 05, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ কোরিয়ার ৩ শতাধিক নাগরিক আটক Sep 05, 2025
img
ময়মনসিংহে জামায়াতের অমুসলিম শাখার সভা অনুষ্ঠিত Sep 05, 2025
img

গোলাম মাওলা রনি

কাদেরকে দিয়ে ইন্ডিয়া, সালমানকে দিয়ে চীন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার চেষ্টা ছিল হাসিনার Sep 05, 2025
img
গাজা সিটির ৪০ শতাংশ দখলের দাবি ইসরাইলি বাহিনীর Sep 05, 2025
img
জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি ৪০ রাজনৈতিক দলের নেতাদের Sep 05, 2025