এখনো ডাকসু না হওয়ার সম্ভাবনা আছে : শরিফ ওসমান হাদী

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী বলেছেন, আমি এখনো মনে করি ডাকসু না হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ সবাই মিলে যদি দেখে একটা গ্রুপ বের হয়ে আসছে অথবা তাকে আটকানো দরকার। তাহলে ৩-৪ গ্রুপ মিলে বয়কট করতে পারে। অনেকে আবার ইলেকশন করেই বয়কট করার জন্য।

অনেকে আবার কিছুর বিনিময়ে বসে যায়। তো এটা হওয়া অসম্ভব না। এটা নিয়ে রিট হচ্ছে। সেই রিটের পর একটু পরে চেম্বার কোর্টে আবার স্থগিতাদেশ হচ্ছে। আবার হবে। এটা কত বড় জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক পাবলিক ইউনিভার্সিটির একটা হলো ঢাকা ইউনিভার্সিটি। অফকোর্স এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইউনিভার্সিটি। এখন এটার ছাত্রসংসদ নির্বাচনে যত সিরিজ টক শো করতে থাকেন এইটার ফলেও কিন্তু পলিটিক্যাল পার্টির ওপরে প্রেসার তৈরি হচ্ছে। এটা এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যদি ডাকসুতে হেরে যায় তাহলে ন্যাশনাল পলিটিক্সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সবাই বলবে তুমি তো ডাকসু জিততে পারো নাই তাহলে তুমি এটা পারবা কী করে? সুতরাং তারা (রাজনৈতিক দল) আরো বেশি সক্রিয় হচ্ছে, তারা ওখানে টাকা-পয়সা খরচ করতেছে। এখন সেক্ষেত্রে যদি ৯ তারিখে ডাকসু হয়—আমি এখনো মনে করি না হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

শরিফ ওসমান হাদী বলেন, ‘ডাকসু ইস্যুতে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো খুবই প্রেসার ফিল করতেছে। এটার একটা ইমপ্যাক্ট ন্যাশনাল ইলেকশনে পড়বে। আমার এখানে পরামর্শ হলো, ডাকসু দেওয়ার আগে জাহাঙ্গীরনগর বা আর দুই-একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিয়ে টেস্ট করতে পারলে তাদের জন্য ভালো হতো। আর ডাকসুই যদি ভালো করে করা না যায় তাহলে আপনি একটা বড় জাতীয় নির্বাচন কেমনে করবেন? ডাকসু মানে হলো হাজার হাজার মিডিয়ার ক্যামেরা চারপাশে আছে। এরপর আপনি ভালো ইলেকশন করতে পারতেছেন না। তাহলে আপনি কিভাবে ৫৬ হাজার বর্গমাইলে একটা বড় ইলেকশন উঠাবেন এটা একটা এসিড টেস্ট (চূড়ান্ত পরীক্ষা) হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে রাজনৈতিক অর্জন নিয়ে অনেক গর্ব। কিন্তু একটা ইউনিভার্সিটির প্রধান কাজ পলিটিক্স মেক করে না, তার প্রধান কাজ হলো একাডেমিয়া। সেই হিসেবে আমাদের একাডেমিক অর্জন কিন্তু খুবই কম। প্রতিবছর ১ হাজার ইউনিভার্সিটির মধ্যে র‌্যাংকিংয়ে আমরা থাকতে পারি না। এইটা হলো বাস্তবতা।’

এমআর/এসএন  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অস্ট্রেলিয়ায় মাঠে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটার Nov 25, 2025
img
আমার সিসি ক্যামেরা হচ্ছে আমার সাংবাদিক ভাই-বোনেরা: সিইসি Nov 25, 2025
img
৩ জাতি সিরিজে অংশ নিতে ঢাকায় আজারবাইজান নারী ফুটবল দল Nov 25, 2025
img
‘সেরে উঠুন দেশনেত্রী, আপনার প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ’ Nov 25, 2025
img
বাস্তবায়ন হয়নি পে স্কেল, ৩০ নভেম্বরের আলটিমেটাম Nov 25, 2025
img
এই সরকার চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে না: কায়সার কামাল Nov 25, 2025
img
ভুয়া পর্যবেক্ষক ধরতে ব্যবহার হবে কিউআর কোড: ইসি সানাউল্লাহ Nov 25, 2025
img
কীটনাশকের ব্যবহার ভূমি রক্ষায় অন্তরায় : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Nov 25, 2025
img
জুবিন গার্গের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয় বরং এটি হত্যা, দাবি আসামের মুখ্যমন্ত্রীর Nov 25, 2025
img
কেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়নি ধর্মেন্দ্রকে? Nov 25, 2025
img
ট্রাম্পের প্রচার চালানো এক্স অ্যাকাউন্টের অবস্থান বাংলাদেশে Nov 25, 2025
img
নির্বাচনকালীন এনআইডি সেবা অব্যাহত রাখার নির্দেশ ইসির Nov 25, 2025
img
মোবাইল সিম-ইন্টারনেট নিয়ে দুর্ভোগ সমাধানের চেষ্টা চলছে : বিটিআরসি Nov 25, 2025
img
বন্দর লিজ দেওয়ার সুযোগ নেই: সাইফুল হক Nov 25, 2025
img
নতুন ফটোশুটে মিশেল ওবামা, ওজেম্পিক নেয়ার অভিযোগ Nov 25, 2025
img
৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের যমুনা অভিমুখী মিছিলে পুলিশের বাধা Nov 25, 2025
img
প্রোটিয়াদের সাথে জিততে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে স্বাগতিক ভারতের Nov 25, 2025
img
‘থার্সডে নাইট’-এ মিথিলা-রেহানের লুকোনো গল্প Nov 25, 2025
ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি প্রস্তাবে কিয়েভ–ইউরোপের আপত্তি Nov 25, 2025
শীতকালের আমল Nov 25, 2025