আদালতের রায়ের আগেই দেশ ছাড়লেন থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এই রায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানায়, সংসদীয় ভোটের একদিন আগে থাকসিন নিজের ব্যক্তিগত বিমানে থাইল্যান্ড ত্যাগ করেছেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনেক থাই নাগরিক ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটে চোখ রেখেছিলেন থাকসিনের বিমানের গতিপথ দেখার জন্য।
স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর আসে যে, তিনি ব্যাংককের দন মুয়াং বিমানবন্দরে ছিলেন এবং ইমিগ্রেশনে কিছু সময়ের জন্য তাকে আটকানো হয়েছিল। পরে জানা যায়, তিনি দুই দিনের জন্য চিকিৎসা পরীক্ষা করাতে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তিনি দেশ ত্যাগ করতে পেরেছেন।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।
অনেকে ধারণা করেন, থাকসিন হয়তো আবার দুবাইয়ে ফিরে যাবেন, যেখানে তিনি আগে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বার্থের দ্বন্দ্বজনিত মামলার কারণে দীর্ঘদিন স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন।
এই সফর এমন সময়ে হলো, যখন কয়েক দিনের মধ্যে আদালত তার বিরুদ্ধে একটি মামলার রায় দেবে, যা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হতে পারে। আর ঠিক তার আগের দিন তার মেয়ে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রার উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য সংসদে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
থাকসিন এর আগে ১৫ বছরেরও বেশি সময় নির্বাসনে কাটিয়ে ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে ফেরেন।
ফেরার আগে তিনি সেনাবাহিনী ও রাজতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছান। এই সমঝোতার মাধ্যমে উভয় পক্ষই লাভবান হয়েছিল, কারণ এতে করে জনপ্রিয়, তরুণ প্রজন্মের সংস্কারপন্থী দল ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত হয়।
দেশে ফেরার পর থাকসিনকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও রাজা সেটি কমিয়ে এক বছর করেন। স্বাস্থ্য সমস্যার অজুহাতে তিনি কারাগারে মাত্র ২৪ ঘণ্টারও কম সময় কাটিয়ে ছয় মাস ভিআইপি হাসপাতালের কক্ষে ছিলেন এবং পরে প্যারোলে মুক্তি পান।
পিএ/এসএন