বহু প্রতিক্ষার পর কুমিল্লায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মোট পাঁচটি জেলার কার্যক্রম চলবে এই কেন্দ্রে। ফলে এই অঞ্চলের মানুষের আর ঢাকায় আসতে হবে না। এতে ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে। শুক্রবার এই কেন্দ্র উদ্বোধন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
এসময় তিনি বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষ আর চট্টগ্রাম-গাজীপুর গিয়ে কাগজপত্র আনতে হবে না। পরীক্ষার খাতা জমা দিতে হবে না। অ্যাডমিশন টেস্টের খাতা দেওয়ার জন্য আর দৌড়াতে হবে না। আপনারা কুমিল্লায় বসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করতে পারবেন। এ আঞ্চলিক অফিস কুমিল্লাতে আমাদের আরো আগেই করা দরকার ছিল। উদ্বোধন শেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী সভার পর কুমিল্লা হাউজিং এস্টেট এলাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিল্লা আঞ্চলিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। এ সময় কুমিল্লা অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষকে নিয়ে গবেষণা হতে পারে মন্তব্য করে ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, হাজার বছরের সংস্কৃতি কুমিল্লা, কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ইতিহাস, খাবার, মিষ্টান্ন ও কুমিল্লার মানুষদের নিয়ে শত শত পৃষ্ঠা লেখা যাবে। আমি কুমিল্লা নিয়ে গর্ববোধ করি। কুমিল্লার ছেলেমেয়েরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে। তারা চমৎকার পারফর্ম করছে। শুধু বললে হবে না, আমি নিজের চোখে দেখেছি তারা কতটা পরিশ্রমী। যারা পরিশ্রম করে তারা তো সফল হবেই।
ড. এ এস এম আমানুল্লাহ আরও বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ল্যাংগুয়েজ ক্লাব স্থাপন হবে। যেখানে জাপানি, কোরিয়ান, ইংরেজি, আরবি ভাষা শিক্ষা দেওয়া হবে। যার ফলে এ কলেজে শিক্ষার্থীদোর ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। ভিক্টোরিয়া কলেজের জিয়া অডিটোরিয়াম সংস্কার করা দরকার। এ বিষয় নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করবে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল বাসার ভূঁঞার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজিব আল মিঠু।
ইএ/টিকে