চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতাকে প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির ‘চরম ব্যর্থতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থী’। তাদের অভিযোগ, দায়িত্বহীনতা ও অযোগ্যতার কারণেই দফায় দফায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং রক্তাক্ত হয় শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৫টায় প্রক্টর অফিসের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ২০-২১ সেশনের উম্মে সাবাহ তাবাসসুম শুদ্ধতা, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০-২১ বিভাগের ইশতিয়াক আহমেদ, আইন বিভাগের ২১-২২ সেশনের সুসান কবির, বাংলা বিভাগের ১৯-২০ বিভাগের ওমর সমুদ্র, ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২৩-২৪ সাদিয়া আফরিন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ৩১ আগস্ট রাত থেকে ১ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত সংঘর্ষ চলাকালে বারবার ফোন করেও প্রক্টরদের পাওয়া যায়নি। দুই ঘণ্টার বেশি সময় পর ঘটনাস্থলে এসে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। অথচ পরে নিজেদের দায় আড়াল করতে উল্টো শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে প্রশাসন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, আহতদের চিকিৎসায় অব্যবস্থা, অক্সিজেন ও অ্যাম্বুলেন্সের অভাব, মামলায় হামলাকারী দারোয়ানের নাম বাদ দেওয়া এবং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করা সবই প্রমাণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে দায় এড়াচ্ছে। মামলায় অনেক নির্দোষ শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।
অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ব্যর্থতা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সাত দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো
১. আহতদের মানসম্মত চিকিৎসার নিশ্চয়তা
২. নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা
৩. হামলায় চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদান
৪. প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বিচারের নিশ্চয়তা
৫. দ্বন্দ্ব নিরসনে সমন্বয় কমিটি গঠন
৬. সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন
৭. প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ ও নিরাপদ ক্যাম্পাস রোডম্যাপ প্রকাশ
বক্তারা বলেন, ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থেকেও প্রক্টরিয়াল বডি ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এই গর্হিত অপরাধকে ক্ষমা করার কোনো সুযোগ নেই।
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, শনিবারের মধ্যে দাবিগুলো মেনে না নিলে তারা কঠোরতম কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
ইএ/টিকে