শেখ হাসিনা ও কামালসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, ৮ সেপ্টেম্বর ১৩তম দিনে তিনজন সাক্ষ্য দেন। তবে ৩৯তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া এসআই মো. আশরাফুল ইসলামের জেরা হয়নি। তাকে আজ জেরা করবেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে অজানা অনেক তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে এনেছেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।

এর আগে, ১ সেপ্টেম্বর দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এদিন জবানবন্দি দিয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে চিকিৎসক-সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজও সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে Sep 10, 2025
img
নেপালে আটকা পড়াদের বিষয়ে তথ্য দিল মন্ত্রণালয় Sep 09, 2025
img
শিবির ট্যাগ দিয়ে ডাকসুর নারী প্রার্থীর স্বামীকে হেনস্তা ছাত্রদলের Sep 09, 2025
img
ডাকসু প্রার্থীদের আইন ভাঙার বিষয়টি বাজে বার্তা দিয়েছে: ভিপি প্রার্থী ইমি Sep 09, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় জানালেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা Sep 09, 2025
img
বিশৃঙ্খলা না থামলে নেপালে রাতেই নামবে সেনাবাহিনী Sep 09, 2025
img
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন নেপালের সেনাপ্রধান Sep 09, 2025
img
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান নেপালের প্রেসিডেন্টের Sep 09, 2025
img
হাসিনা ও রেহানার মধ্যে একটা কোল্ড ওয়ার ছিল : রনি Sep 09, 2025
img
বুধবার বন্ধ থাকবে ঢাবির ক্লাস-পরীক্ষা Sep 09, 2025
img
হাসিনাকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়েছি আবার বাংলাদেশে হাসিনাগিরি দেখার জন্য না : জাহেদ উর রহমান Sep 09, 2025
img
‘এই কষ্ট কোনোদিন ভুলব না’ ছাত্রদল নেতা হামিমের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর ঢাবি শিক্ষক Sep 09, 2025
img
ডাকসুর ফলাফলের নামে ভুয়া তথ্যে সয়লাব সোশ্যাল মিডিয়া Sep 09, 2025
img
নারী শিক্ষার্থীরা প্রতিটি সংকটে আমাদের পথ দেখিয়েছেন : এসএম ফরহাদ Sep 09, 2025
img
এসএ টোয়েন্টির নিলামে বিক্রি হননি মুস্তাফিজ Sep 09, 2025
img
যে শিক্ষককে ধমকাতে পারে তার মতো ছাত্রনেতা আমাদের জন্য লজ্জার : সারজিস Sep 09, 2025
img
বিমানের ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইট সাময়িক স্থগিত Sep 09, 2025
img
কাতারে হামলায় নিহত ২ Sep 09, 2025
img
কাতারে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক করল সরকার Sep 09, 2025
img
ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে মঞ্চে লিরিক্স বদলালেন বাদশা Sep 09, 2025