ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেছেন, আমরা সব ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তা করছি। আগামীতে ইসলামের পক্ষে একটি ব্যালট বাক্স দেওয়ার চেষ্টা করবো। তবে এখনকার প্রশাসনের অবস্থা এমন যে, এই প্রশাসনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রশাসনের সংস্কার না হলে আগামী নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ক্যারিয়ার গাইডলাইন বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করিম বলেন, আমরা পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করে আসছি। আমরা মনে করি, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনই বাংলাদেশে সবচেয়ে নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা। এ পদ্ধতিতে কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তি তৈরি হবে না, বরং একটি জাতীয় ঐক্যমতের সংসদ গঠিত হবে। যেখানে সব আদর্শের মানুষ প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। এখানে পেশিশক্তির ব্যবহার, কেন্দ্র দখল বা কালো টাকার প্রভাব থাকবে না।
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ডাকসু নির্বাচনে বাম-রামদের নিপাত ঘটেছে, ভারতপন্থীরা চিরতরে কবরস্থ হয়েছে। আমরা মনে করি, সেখানে ইসলামের উত্থান ঘটেছে।
সলিমুল্লাহ তার ওয়াকফকৃত জমিতে মুসলমানদের জন্য যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেখানে দীর্ঘদিন আমরা কোণঠাসা ছিলাম। মুসলমানদের সঠিকভাবে চলতে দেওয়া হয়নি, বুক ফুলিয়ে হাঁটতে পারেনি। এবার নির্বাচনের মাধ্যমে বামদের পতন ঘটেছে এবং ইসলামপন্থীরা বিজয় অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ক্যারিয়ার শুধু খাওয়া-পরার জন্য নয়। মৌমাছি কিংবা পিঁপড়াও আমাদের চেয়ে ভালোভাবে খাবার সংগ্রহ করতে পারে। তাই ক্যারিয়ারের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জন।
অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাতের সভাপতিত্বে ও শাখার সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমদ মনসুর।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুর বলেন, সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা ৩৪ বছর পেরিয়ে ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছি। আমরা সত্য, শুদ্ধতা ও স্নিগ্ধতার পথিক। আপনারা আমাদের জানুন, বুঝুন, পড়ুন এবং দেশ গড়তে আমাদের সহযোগিতা করুন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব আহম্মদ আলী, ডা. এইচ. এম. মোতাজুল করিম, আশিকুল ইসলাম, আহমাদ আব্দুল জলিল, অ্যাডভোকেট জমারত আলী (অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল), মোহাম্মদ হিরা সরকার, আলহাজ্ব আনোয়ার খান এবং আলহাজ্ব মো. নুর আলম বিশ্বাস।
এসএন