ফরিদা পারভীন নেই এই কথাটা বিশ্বাস করতে পারছি না। কষ্ট হচ্ছে। তাঁর চলে যাওয়ার বয়স তো এখনো হয়নি। ফরিদা পারভীন এমন একজন শিল্পী ছিলেন যে তাঁর অভাব আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে।
এমন শিল্পী তো আর যুগে যুগে আসেন না। তিনি লালনসংগীতকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছেন। পরিষ্কার করে বললে, জাপানে লালনগীতিকে তিনি আলাদা মাত্রা দিয়েছেন। অথচ দেশে কি আমরা তাঁকে যোগ্য মূল্যায়ন করতে পেরেছি?
ফরিদা পারভীন লালনের আদি সুরগুলো সংগ্রহ করে সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন।
সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন লালনের ভাবত্তত্ব। এর কোনো তুলনা হয় না। তিনি লালনকন্যা হিসেবেই স্বীকৃতি পেয়েছেন। এটা তাঁর যোগ্যতা।
এই সময়ে তাঁর চলে যাওয়া সংগীতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। আমার সঙ্গে ফরিদা পারভীনের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। যখন তাঁর ফার্মগেটে বাসা ছিল নিজেই কয়েকবার গিয়েছি। তাঁর কাছে লালনসংগীত শিখেছি, লালন সম্পর্কে জেনেছি। একসঙ্গে দেশে, দেশের বাইরে গান করেছি।
আমাদের নিয়মিত দেখা না হলেও ফোনে যোগাযোগ হতো। গতকালও (শনিবার) আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করেছি। বলেছি, আল্লাহ, ফরিদা পারভীনকে এই যাত্রায় আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দাও। হয়তো তাঁর যাওয়ার সময় হয়েছিল বলে আর ফিরলেন না। ফরিদাকে কেউ যদি শুধু লালনকন্যা বলে ভাবেন, ভুল করবেন। তাঁর কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান, আধুনিক গান, নজরুলগীতিও কিন্তু ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। ‘তোমরা ভুলে গেছো মল্লিকাদির নাম’ বা ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানগুলো তো তাঁর কণ্ঠে আলাদা মাত্রা পেয়েছে।