জেরায় মাহমুদুর রহমান

যোগ্যতা দেখে কারো পদোন্নতি দেননি শেখ হাসিনা

যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশ-প্রশাসনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারও কোনো পদোন্নতি দেননি বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে জেরার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এদিন জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৪৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরু হয়। তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

জেরার একপর্যায়ে এই সাক্ষীর উদ্দেশ্যে আমির হোসেন বলেন, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পেছনে ২০০৮ সালে ভূমিকা রাখায় তৎকালীন ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা জেনারেল আমিন, ব্রিগেডিয়ার বারী ও ব্রিগেডিয়ার মামুন খালেদরা পদোন্নতি পেয়েছেন বলে আপনি সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে তারা নিজ যোগ্যতায় বড় পদ পেয়েছেন। কোনো পুরস্কার হিসেবে নয়।

জবাবে সত্য নয় বলে জানান মাহমুদুর রহমান। ইহা সত্য নয় যে, শেখ হাসিনার আমলে তোষামোদির মাধ্যমে পদোন্নতির ঘটনা ঘটেনি। পরে সাক্ষী বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে কারো কোনো পদোন্নতি যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশের ডিআইজি থেকে ওপরের সব পদে পদোন্নতির বিষয়ে নিজ সিদ্ধান্ত দিতেন শেখ হাসিনা।

এ প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, মাহমুদুর রহমান বলেছিলেন যে, পুলিশের ডিআইজি থেকে ওপরের পদোন্নতি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতেন শেখ হাসিনা। তিনি যাকে মনে করতেন তাকে ওই পদে পদোন্নতি দিতেন আর যাকে করতেন না তাকে দিতেন না।

দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে আজ অবশিষ্ট সাক্ষ্য দেন মাহমুদুর রহমান। জবানবন্দিতে তিনি আওয়ামী দুঃশাসনকালের পুরো চিত্র তুলে ধরেন। একইসঙ্গে এমন ফ্যাসিস্ট সরকারের আগমন যেন বাংলাদেশে না হোক, সেজন্য জুলাই গণহত্যার ন্যায়বিচারের মাধ্যমে প্রত্যাশা করেছেন এই সাক্ষী। 

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামালপুরে পিকনিকের খিচুড়ি রান্না করতে গিয়ে দগ্ধ ৩ Dec 26, 2025
img
দক্ষিণী ছবিতে বড় ঝুঁকির পথে মহেশ বাবু Dec 26, 2025
img
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় নতুন সিটপ্ল্যান Dec 26, 2025
img
পোপ হিসেবে চতুর্দশ লিও’র প্রথম বড়দিন উদযাপন Dec 26, 2025
img
তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ Dec 26, 2025
img
কুড়িগ্রামে ৩৮ লাখ টাকার ভারতীয় কাপড় জব্দ Dec 26, 2025
img
বিপিএল ২০২৬: চূড়ান্ত কমেন্টেটর প্যানেল ঘোষণা Dec 26, 2025
তারেক রহমান ফেরায় যে প্রতিক্রিয়া দিলো সরকারসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো! Dec 26, 2025
img
তারেক রহমানের ফেরা রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে: জিএম কাদের Dec 26, 2025
আই হ্যাভ আ প্ল্যান ফর মাই কান্ট্রি: তারেক রহমান Dec 26, 2025
১৭ বছর পর নিজ বাড়িতে ফিরলেন তারেক রহমান Dec 26, 2025
img
রাজবাড়ীর ঘটনায় অন্তবর্তী সরকারের বিবৃতি Dec 26, 2025
img
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে ১ জানুয়ারি Dec 26, 2025
অভিনয়ে রণবীর, পেছনে নওয়াজ Dec 26, 2025
ভক্তদের চোখে ‘শেষ ব্যাচেলর হানিমুন’ নীরব বিজয়-রাশমিকা Dec 26, 2025
ট্রেবল জয়ী ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনহার অবসরের ঘোষণা Dec 26, 2025
বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওসমান হাদির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা Dec 26, 2025
পর্তুগাল ফুটবল দলে রোনালদোকে অনেক দরকার: কোচ মার্তিনেজ Dec 26, 2025
img
ভারত-সমর্থিত গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে পাকিস্তানের অভিযানে প্রাণ গেল ১০ জনের Dec 26, 2025
img
ভারতের সাথে সম্পর্কের উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ চীনের Dec 26, 2025