সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন বলেছেন, আমার অনুমানটা হলো আসলে নির্বাচন হবে। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। ফেব্রুয়ারিতে যে সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার বলেছেন সেই সময়ই হবে। এই নির্বাচন কি রকম নির্বাচন হবে? যদি ফেব্রুয়ারি মার্চের মধ্যে নির্বাচন হয়ও সেটা কি হ্যাঁ না ভোটের নির্বাচন হবে? সেটা কি গণপরিষদ নির্বাচন হবে? সেটা কি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে? আমি যদি অনুমান করি বা কি হবে বলে মনে করি সেক্ষেত্রে আমি বলতে চাই যে, সবার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হবে।
সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, সবাই সবার মত করে ভোট দিবেন। তাদের পরবর্তী নেতা সরকার সেগুলো নির্বাচন করবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি বলয় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
একটু খেয়াল করলে নির্বাচনের ঢাক, নির্বাচনের বাজনাও শোনা যাচ্ছে। যারা যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবেন তারা কীভাবে ভোট চাইবেন বা কী বলবেন সেটিও তারা মোটামুটিভাবে ঠিক করেছেন।
খালেদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে একটি নতুন সরকার গঠন করার প্রয়োজনীয়তা খুব দেখা দিছে। সাধারণ মানুষ মনে করতেছে যে একটা নতুন সরকার আসা দরকার। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার যা করছেন তার জন্য তারা ধন্যবাদ পাবেন। তারা একটা ক্রান্তিকালে ক্ষমতায় এসেছেন। তারপর তারা নির্বাচন দিয়ে একটা নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করছেন এটাই বোধয় তাদের একমাত্র বড় চাওয়া এই মুহূর্তে।
আর কোন কিছু চাওয়া থাকলেও সেই চাওয়াটা নিয়ে বড় করে এখন কোনো কিছু বলার মত বড় মুখ তাদের আর নাই। সুতরাং তারা একটা নির্বাচন দিতেই চেষ্টা করবেন সর্বোচ্চ এবং সেই নির্বাচনটা দেওয়া হবেই।
খালেদ আরো বলেন, নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করবেন? ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রমের মধ্যে এক ধরনের ইশারা পাবেন। সরাসরি কথা না পাইলেও ইশারা পাবেন। ইশারাটা কি? ইশারা হচ্ছে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসছেন। সাথে এবার তিনি তিনটা রাজনৈতিক দলের চারজন কে নিয়ে আসছেন। বিএনপি থেকে দুইজন, জামায়াত থেকে একজন এবং এনসিপি থেকে একজন। এইটার মধ্যেও বুঝবেন যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি- এই তিনটা দলের অংশগ্রহণ নির্বাচনে এবং তাদের সরকারের গঠনে ভূমিকা রাখতে দেখলেই তিনি তা যথেষ্ট মনে করেন।
কেএন/টিকে