মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কারোপ ও ভিসা ফি বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছে ভারত। শুল্কারোপের পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছিল, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে জাতিসংঘের অধিবেশনেই অংশ নেননি মোদি। শেষ পর্যন্ত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে নিউইয়র্ক পাঠিয়েছে বিজেপি সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইম বলছে, জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও'র সঙ্গে বৈঠকে করবেন এস জয়শঙ্কর। স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নেয়ার অংশ। সম্প্রতি ভারত–মার্কিন সম্পর্কে যে টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত জানুয়ারি এবং জুলাই মাসে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছিলেন রুবিও ও জয়শঙ্কর। তবে বাণিজ্যিক শুল্ক নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর এটাই হবে দুই নেতার প্রথম সরাসরি আলোচনা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ছিল রাশিয়া থেকে তেল কেনার দায়ে।
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালও একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, “পারস্পরিকভাবে উপকারী একটি বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পাদনের লক্ষ্যে আলোচনাগুলো এগিয়ে নেয়াই মূল উদ্দেশ্য।”
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের সম্প্রতি নেয়া এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে ভারতের। নতুন প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীদের জন্য এককালীন ফি এক লাখ ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি ও বিদেশি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করেছে। হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করেছে, এই ফি শুধুমাত্র নতুন আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ইএ/এসএন