সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা ১৯৬৭ সালের পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন। ১৯৬৭ সালে সর্বশেষ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নুরেদ্দিন আল আতাশি জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছিলেন। খবর রয়টার্সের।
আহমেদ আল শারা এক সময় মধ্যপ্রাচ্যের কট্টর জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার একজন নেতা ছিলেন। তাকে হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এক কোটি ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। তবে গত বছর বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে দামেস্কের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেন শারা। চলতি বছরে সৌদি আরবের রিয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ কূটনৈতিকভাবে তার বড় সাফল্য বলে ধরা হয়।
এই সফলতার পর যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। শারার বিরুদ্ধে ঘোষণা করা হত্যার পুরস্কার তুলে নিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন নিয়মিতভাবে শারার দেশের স্থিতিশীলতা ও ঐক্যের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানাচ্ছে।
শারা এই সপ্তাহে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। অধিবেশনের মাঝেই সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে ‘নিরাপত্তা চুক্তি’ হতে পারে বলে আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ শেষে গত ডিসেম্বরে কট্টর মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর জোট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করার পর শারা ক্ষমতায় আসেন। তাকে পশ্চিমা দেশসহ সৌদি আরব, তুরস্ক ও অন্যান্য সুন্নি প্রধান দেশগুলো সমর্থন করছে।
উল্লেখ্য, এ বছরের এপ্রিলে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল শাইবানি জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছিলেন এবং নিউইয়র্কে সিরিয়ার নতুন পতাকাও উত্তোলন করেন।